Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

বাদুড়িয়ায় মশা নিধনে পথে নামলেন পুরপ্রধান

বৃহস্পতিবারও বসিরহাটের দক্ষিণ মালতিপুর গ্রামের বাসিন্দা লাইলি বিবি (২২) জ্বরে মারা গিয়েছেন। বুধবার ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে তিনি জ্বর নিয়ে ভর্তি হন। এ দিন কলকাতার আরজিকরে লাইলিকে স্থানান্তরিত করা হয়। যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘুরে-ঘুরে: ব্লিচিং ছড়াচ্ছেন পুরপ্রধান। ছবি: নির্মল বসু

ঘুরে-ঘুরে: ব্লিচিং ছড়াচ্ছেন পুরপ্রধান। ছবি: নির্মল বসু

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৭ ০২:১৭
Share: Save:

উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে বাড়ছে জ্বর ও ডেঙ্গির প্রকোপ। একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।

বৃহস্পতিবারও বসিরহাটের দক্ষিণ মালতিপুর গ্রামের বাসিন্দা লাইলি বিবি (২২) জ্বরে মারা গিয়েছেন। বুধবার ধান্যকুড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে তিনি জ্বর নিয়ে ভর্তি হন। এ দিন কলকাতার আরজিকরে লাইলিকে স্থানান্তরিত করা হয়। যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।

চারিদিকে দিনের পর দিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ বার আর হাত গুটিয়ে থাকার মতো অবস্থা নেই। এলাকার মানুষও ডেঙ্গি মোকাবিলায় নেমেছেন। এ দিন মুখে কাপড় বেঁধে লোকজন সঙ্গে নিয়ে পথে নামলেন বাদুড়িয়ার পুরপ্রধান তুষার সিংহ। এলাকার বিভিন্ন জায়গার জমা জল তিনি পরিষ্কার করান। নিজেই চারিদিকে ব্লিচিং ছড়ান। মশা মারার তেলও ছড়ানো হয় এ দিন।

বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে মশার উপদ্রব বাড়ছে। দিনের বেলাতেও দু’মিনিট বসা যায় না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। তাঁদের মতে, কারণ যত্রতত্র পড়ে থাকে আবর্জনা। অল্প বৃষ্টিতেও জল জমে। সেই জল দিনের পর দিন পরিষ্কার হয় না বলে অভিযোগ। আর তা থেকেই মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে বলে তাঁরা জানান। বসিরহাট, হাড়োয়া এবং বাদুড়িয়াতে মশার উৎপাত তো রয়েছেই। স্বরূপনগর, হাসনাবাদ হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ এবং সন্দেশখালিও বাদ যায় না। এই সমস্ত এলাকাগুলিতে জ্বরে আক্রন্ত হচ্ছেন মানুষ।

কিন্তু বাদুড়িয়া বিএমওএইচ তথা স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক সুনীলকুমার বণিক অন্য কথা বলছেন। তাঁর কথায়, ‘‘দিন কয়েক আগেও ৬০টি শয্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫০ জনেরও বেশি রোগী। কিন্তু এখন তা একটু কমেছে।’’ তিনি জানান, এখন হাসপাতালে প্রায় ৯০জন রোগী ভর্তি থাকছেন। পুরসভার এই উদ্যোগের জন্য আর অল্প শীত পড়ায় মশা পিছু হটতে শুরু করেছে।

বাদুড়িয়ায় আনাচে-কানাচে ব্লিচিং ও মশা মারার তেল ছড়ান পুরপ্রধান। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নিকাশি নালা পরিষ্কার করান। ।

তুষারবাবু বলেন, ‘‘সকলে এগিয়ে না এলে ডেঙ্গি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সে জন্য সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিষ্কার করা হচ্ছে।’’ এ ভাবে কাজ করলেই জ্বরের প্রকোপ এলাকা থেকে কমবে বলে মনে করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Dengue Mosquitoes Councillor ডেঙ্গি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE