না আছে আগাম ঘোষণা, না আছে প্রশাসনের নজরদারি। বাড়ছে বাস-অটো-ট্রেকারের ভাড়া। পকেটে চাপ পড়ছে নিত্যযাত্রীদের। আজ নজরে উত্তর ২৪ পরগনা।
হাবড়ার বাসিন্দা অভি রায় সপ্তাহে দু’দিন গোপালনগরের নহাটায় এক শিক্ষকের কাছে পড়তে যান। হাবড়া থেকে বাসেই যান তিনি। দিন কয়েক আগেও এই পথে বাস ভাড়া ছিল ২০ টাকা। অভিযোগ, হঠাৎ করেই ১০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ভাড়া। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বেশি খরচ করেই যাতায়াত করতে হচ্ছে ওই যুবককে। করোনা পরিস্থিতি ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিকে হাতিয়ার করে গত কয়েকদিনে বহু রুটের বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। ফলে দৈনিক খরচের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পকেট ফাঁকা হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। অভিযোগ, সরকারি অনুমতি ছাড়াই বাড়ানো হয়েছে ভাড়া। বর্ধিত ভাড়ার কোনও চার্টও টাঙানো হয়নি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, হাবড়া থেকে নৈহাটি পর্যন্ত বাস ভাড়া ছিল ২৬ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা। বনগাঁ থেকে বাগদার মধ্যে কোনও রেলপথ নেই। ফলে বাসই অন্যতম ভরসা। সেখানেও ভাড়া বেড়েছে অনেকটা। বনগাঁ থেকে নিয়মিত বারাসত যাতায়াত করেন সুধীর বিশ্বাস। তিনি বললেন, “ট্রেনে ভিড় হয় বলে বাসে যাতায়াত শুরু করেছিলাম। কিন্তু রোজ ১০ টাকা অতিরিক্ত বাস ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আবারও ট্রেনে যাতায়াত করছি।” ভাড়া বেড়েছে বনগাঁ-চাকদহ রুটেও। বসিরহাট চৌমাথা থেকে সন্দেশখালির ন্যাজাট বাজার পর্যন্ত আগে বাসে ভাড়া নেওয়া হত পঁচিশ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে পঁয়ত্রিশ টাকা। মিনাখাঁর মালঞ্চ বাজার থেকে বাসে সায়েন্স সিটি পর্যন্ত যেতে ভাড়া লাগত কুড়ি টাকা। এখন পঁয়ত্রিশ টাকা লাগছে।