পারিবারিক প্রায় ১২ বিঘে জমিতে ৭০ কুইন্টাল ধান চাষ করেছেন কাকদ্বীপ রামকৃষ্ণ পঞ্চায়েত এলাকার চাষি সঞ্জীব সাউ। কিন্তু এখনও তিনি সেই ধান বিক্রি করতে পারেননি। কারণ, কাকদ্বীপ মহকুমায় ডিসেম্বরের শুরুতে সরকারি সহায়ক মূল্য ধান কেনা শুরুর কথা থাকলেও ডিসেম্বর শেষ হতে চললেও সেটি শুরু হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা খাদ্য দফতরের এক কর্তা জানান, এ বার এক কুইন্টাল ধানের সহায়ক মূল্য ঠিক হয়েছে ১৪৯০ টাকা। নতুন নিয়মে ধান বিক্রির জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতে চাষিদের নাম নথিভুক্ত করতে হচ্ছে। তার পর সেই নাম কেন্দ্রীয় ধান বিক্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে। সেখান থেকে চাষিদের ফোন করে ধান বিক্রির তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা খাদ্য ও সরবরাহ নিয়ামক এ হাসনাত বলেন, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় নাম নথিভুক্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে। সেটি হলেই ধান কেনা শুরু হবে।’’
কিন্তু খাদ্য দফতরের এই নিয়মের কথা জানেনই না কাকদ্বীপের কয়েকটি পঞ্চায়েতের প্রধান এবং বেশিরভাগ চাষি। চাষিদের ক্ষোভ, কবে থেকে ধান কেনা শুরু হবে সেটা পঞ্চায়েত জানে না। নামখানার চন্দনপিড়ির চাষি হরিহর দাসের ক্ষোভ, ‘‘দু’সপ্তাহ আগে প্রায় ১০০ কুইন্টাল ধান কেটেছি। কিন্তু ধান বিক্রির জন্য যে পঞ্চায়েতে গিয়ে নাম লেখাতে হচ্ছে সেটা এখনও কেউ বলেনি। আমরা জানবো কী করে?’’সাগর ব্লকের ঘোড়ামারা পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জীব সাগর বলেন, ‘‘আমাদের পঞ্চায়েতে কোনও নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে না।’’ পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধারপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, ‘‘আমরা চাষিদের নাম নথিভুক্ত করার কথা জানি না। ধান কেনার কাজ তো সমবায় থেকে হয়। হয়তো ওরাই সেই কাজ করছে।’’
খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, অনেক চালকল মালিকের গত বছর ধান কেনাবেচার টাকা এখনও পাওনা রয়েছে। তাই তাঁরা এ বার ধান কিনতে অনীহা দেখাচ্ছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ ভক্তরাম মণ্ডলের দাবি, খাদ্য দফতরের কর্তা ও পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আজ, সোমবার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরে ধান কেনা শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy