ছাত্রীর সৎ বাবা সুনীল নস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
সৎ বাবার লালসার শিকার বছর পনেরোর স্কুলছাত্রী। অভিযোগ, টানা কয়েক বছর ধরে ভয় দেখিয়ে সৎ মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করত বাবা। কাউকে বললে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিত। সেই অভিযোগও জমা পড়েছে পুলিশে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বুধবার আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ওই নির্যাতিতা ছাত্রী। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের তালদি এলাকায়। মহিলা সমিতির দ্বারস্থ হন নির্যাতিতার মা। তারাই থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রীর সৎ বাবা সুনীল নস্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
বুধবার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে ওই নির্যাতিতা ছাত্রীর মা তালদি এলাকার বাসিন্দা সুনীল নস্করকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন তিনি। মায়ের সঙ্গে সৎ বাবার বাড়িতেই থাকত ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটি। বছর দেড়েক আগে সৎ বাবা সুনীল ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কাউকে জানালে সৎ মেয়েকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সে। তখন ভয়ে সে কথা চেপে গিয়েছিল নির্যাতিতা। কিন্তু তার পর থেকেই মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন বাড়ছিল। শেষপর্যন্ত সৎ বাবার অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে বুধবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে নির্যাতিতা। কিন্তু মায়ের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচে তার। এরপর মা’কে পুরো ঘটনা খুলে বলে মেয়ে। তার পরেই সুনীলের স্ত্রী স্থানীয় মহিলা সমিতির দ্বারস্থ হন। পরে সমিতির সদস্যরাই ক্যানিং থানায় সুনীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা সুনীলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy