E-Paper

জাতীয় পতাকার অবমাননা রুখতে সাইকেল-যাত্রায় ‘উদ্ধার’ অভিযান

সুন্দরবনের বাসন্তীর প্রত্যন্ত গ্রাম উত্তর ভাঙনখালির বাসিন্দা সুকান্ত কলেজের ছাত্র সুজাউদ্দিন লস্কর এই পরিকল্পনার অন্যতম উদ্যোক্তা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ০৮:০৮
রাস্তার ধার থেকে পতাকা উদ্ধার করছেন তরুণেরা।

রাস্তার ধার থেকে পতাকা উদ্ধার করছেন তরুণেরা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান পালন হয়েছে দেশ জুড়ে। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতেও উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু প্রতি বছরের মতো এ বছরও স্বাধীনতা দিবসের পরে রাস্তার যেখানে সেখানে, আবর্জনার স্তূপে কাগজে বা প্লাস্টিকের তৈরি পতাকা পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অযত্নে পড়ে থাকা সেই পতাকাগুলিকে উদ্ধার করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন বাসন্তীর তিন কলেজ পড়ুয়া।

সুন্দরবনের বাসন্তীর প্রত্যন্ত গ্রাম উত্তর ভাঙনখালির বাসিন্দা সুকান্ত কলেজের ছাত্র সুজাউদ্দিন লস্কর এই পরিকল্পনার অন্যতম উদ্যোক্তা। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন দুই বন্ধু সোনারপুর মহাবিদ্যালিয়ের নাসিরুল মোল্লা ও গোসাবার হাজি দেশারথ কলেজের জামাল সর্দার। বুধবার স্বাধীনতা দিবসের পর দিন সাইকেলে চেপে এই কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। বাসন্তী থেকে দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীন পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার রাস্তা তাঁরা সাইকেলে অতিক্রম করেছেন। যাত্রাপথে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা জাতীয় পতাকাগুলিকে তুলে নেন। স্থানীয় মানুষকে পতাকার মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে সচেতনও করেন সুজাউদ্দিনেরা। পথচলতি অনেকে তাঁদের সঙ্গে এ কাজে হাত লাগান। গত বছরও ক্যানিং মহকুমা জুড়ে এই কাজ করেছিলেন তাঁরা।

তিন তরুণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে বুধবার ক্যানিং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাজির ছিলেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস, ক্যানিং ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উত্তম দাস, বিডিও ক্যানিং ১ শুভঙ্কর দাস। তিন জনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। পরেশ বলেন, ‘‘আমাদের সকলেরই উচিত জাতীয় পতাকার প্রতি যত্নবান হওয়া। শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবস বা প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পতাকা তুললে হবে না, দেখতে হবে পতাকার যেন অবমাননা না হয়।’’

সুজাউদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি পতাকা উত্তোলনের পর ছোট ছোট কাগজের, প্লাস্টিকের পতাকা রাস্তায়, মাটিতে, আবর্জনার স্তূপে পড়ে রয়েছে। সাইকেলে করে যাওয়ার পথে সেগুলিকেই আমরা উদ্ধার করে প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। যাত্রাপথে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতনও করছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

basanti

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy