এই বাড়ির পিছনে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। নিজস্ব চিত্র
পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা পচা-গলা দেহ উদ্ধার হল তরুণীর। তাঁকে খুনের অভিযোগে ধরা পড়েছে স্বামী।
শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট ২ ব্লকের মাটিয়া থানার দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পিয়ালি নাথ (২৬)। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পিয়ালির বাবা সন্ন্যাসী মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে জামাই সত্যজিৎকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে নাবালিকা পিয়ালিকে ভালবেসে বিয়ে করে খোলাপোতা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সত্যজিৎ। তাঁদের দুই সন্তান। সত্যজিৎ বরাবরই রগচটা। সামান্য ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের মারধর করত বলে অভিযোগ। বাদুড়িয়ার তারাগুনিয়া গ্রামের চরপাড়ায় সামান্য জমিতে পিয়ালির বাপের বাড়ি। অভিযোগ, সত্যজিৎ শ্বশুরবাড়ির ওই জমিটুকুও তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য জোর করত। শ্বশুর-শাশুড়িকে মারধরও করত।
এ দিন সকালে সন্ন্যাসী মেয়ের খোঁজে মথুরাপুরে আসেন। দেখেন, বাড়ির দরজায় তালা ঝুলছে। পচা গন্ধ পান তিনি। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির কাছের পুকুর থেকে পিয়ালির পচা-গলা দেহ উদ্ধার করে। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, পিয়ালিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
এ দিকে, শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ের খোঁজে কেউ আসতে পারে অনুমান করে বাচ্চাদের নিয়ে শনিবার সকালেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিল সত্যজিৎ। কিন্তু ততক্ষণে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়ে গিয়েছে। পুলিশও খোঁজ করতে শুরু করেছে। পালানোর সময়ে আন্দুলপোতা গ্রামে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় সত্যজিৎ।
সন্ন্যাসী বলেন, ‘‘প্রায়ই অকারণে মাথা গরম করে মেয়েকে মারধর করত জামাই। গত কয়েক দিন ধরে মেয়েকে ফোন করছিলাম। কিন্তু মোবাইল বন্ধ থাকায় ওদের কোনও খবর পাচ্ছিলাম না। এখানে এসে দেখি এই কাণ্ড।’’ কী কারণে পিয়ালিকে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy