Advertisement
১১ মে ২০২৪

সমুদ্রে হামলা, জখম মৎস্যজীবী

ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ট্রলারে চড়াও হয়ে লুটপাট চালিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে। 

চিকিৎসাধীন: হাসপাতালে জখমেরা। নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসাধীন: হাসপাতালে জখমেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কাকদ্বীপ শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:২৯
Share: Save:

ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ট্রলারে চড়াও হয়ে লুটপাট চালিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সমুদ্রের কেঁদোদ্বীপের কাছে। সুন্দরবন পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের মারে জখম হয়েছেন কাকদ্বীপের তিন মৎস্যজীবী। সুজয় দাস, নেপুর দাস ও সঞ্জয় ময়রা নামে ওই মৎস্যজীবীদের কাকদ্বীপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন সাতেক আগে কাকদ্বীপ মৎস্য বন্দর থেকে ‘এফবি বর্গবিমা’ নামে একটি ট্রলারে ১৩ জন মৎস্যজীবী মাছ ধরতে সমুদ্রে গিয়েছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সমুদ্রে জাল পেতে মাছ ধরছিলেন তাঁরা। এমন সময়ে বাংলাদেশি একটি ট্রলারে করে জনা পঁচিশ মৎস্যজীবী এসে তাঁদের ট্রলারে উঠে পড়ে। অভিযোগ, ঘণ্টা তিনেক ধরে লুটপাট চালায় তারা। মৎস্যজীবীদের মারধরও করা হয়। মাছ নিয়ে পালায়। জাল, খাবার, ওয়ারলেস সেট-সহ নানা সরঞ্জামও ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা।

কাকদ্বীপের অন্য ট্রলার সেখানে মাছ ধরতে গিয়ে সকলকে উদ্ধার করে শনিবার সকালে ফিরিয়ে আনেন। জখম মৎস্যজীবীরা জানান, হামলাকারীদের প্রত্যেকের হাতে লোহার রড, কুড়ুল, কাটারি ছিল। ওদের মধ্যে এক দল কয়েক জনকে ট্রলার বেঁধে মারধর করে। অন্য দল লুটপাট চালাতে ব্যস্ত ছিল। জখমদের কথায়, ‘‘ওরা চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে আমাদেরই এলাকার একটি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।’’ কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি, সতীনাথ পাত্ররা জানান, এ দিন সকালে ১৩ জন মৎস্যজীবীর সকলেই ফিরেছেন। ১১ জন জখম ছিলেন। ৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সকলের বাড়ি কাকদ্বীপের মাইতিরচক ও দাসেরচক এলাকায়। মৎস্যজীবী সংগঠনের নেতাদের কথায়, ‘‘বছর পাঁচেক আগেও বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা আমাদের মৎস্যজীবীদের উপরে হামলা চালিয়েছিল। উপকূল রক্ষীবাহিনীকে সমুদ্রে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে জানানো হবে।’’

কিন্তু যে কায়দায় অস্ত্র নিয়ে হামলা হয়েছে, তা কি জলদস্যুদের কাজ নয়? বিজনরা জানান, আক্রান্ত মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে তাঁরা জেনেছেন, হামলাকারীরা মাছ ধরতেই বেরিয়েছিল। তবে তারা জলদস্যু কিনা, পুলিশ তা খতিয়ে দেখুক।

পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Attack Fishermen Kendodwip
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE