Advertisement
E-Paper

বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে বসিরহাটে

অবিলম্বে সভাপতিকে অপসারণ করতে হবে— এই দাবিতে মাইকে স্লোগান দেওয়া হয়। অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। দলীয় কার্যালয়ের তালা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে নতুন তালা মারা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৫৮
বিজেপির বিক্ষোভ। ছবি: নির্মল বসু।

বিজেপির বিক্ষোভ। ছবি: নির্মল বসু।

দলের জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন বিজেপিরই কিছু সদস্য। অভিযোগ, নিজেদের দলীয় কার্যালয়ের গেটের তালা ভেঙে নতুন করে তালাও মারলেন বিজেপির কিছু নেতা-কর্মী।

শুক্রবার বসিরহাটের জেলা দলীয় কার্যালয়ে এসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সকলকে এক সঙ্গে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার দু’দিনের মধ্যেই রবিবার দুপুরে ঘটল এই ঘটনা।

কিছু দিন আগে বসিরহাট থানার কাছে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বিজেপির সভায় দলেরই লোকজন ঢুকে অশান্তি করে সভা ভন্ডুল করে। দলের বসিরহাট জেলা সভাপতি তারক ঘোষের অপসারণের দাবি তোলা হয়। তাঁকে হেনস্থা করা হয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়।

এই ঘটনার পরে বিজেপির জেলার সহ সভাপতি দুলাল রায়, জেলা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার এবং বসিরহাট পৌর মণ্ডলের সভাপতি বিশ্বনাথ রক্ষিতকে ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত কয়েক দিন আগে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে মিনাখাঁ উত্তর মণ্ডলের সভাপতি পুলিন গাইন, হাড়োয়া দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি বিজয় নষ্কর, সন্দেশখালি ১ মণ্ডলের সভাপতি সঞ্জয় পাল এবং সন্দেশখালি ২ পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি মনোরঞ্জন রফতানকেও পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই সব ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন বিজেপির কিছু নেতা-কর্মী দলীয় পতাকা হাতে, মুখে কালো কাপড় বেঁধে, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলতে তুলতে বসিরহাট শহরে টাউনহলের পাশে জেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবিলম্বে সভাপতিকে অপসারণ করতে হবে— এই দাবিতে মাইকে স্লোগান দেওয়া হয়। অবস্থান-বিক্ষোভ চলে। দলীয় কার্যালয়ের তালা হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে নতুন তালা মারা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা না মিটলে লাগাতার অনশন বিক্ষোভে সামিল হওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

দুলাল রায়, বিশ্বনাথ রক্ষিত বলেন, ‘‘বিরোধী দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিকল্পনা করে পুরনো সৈনিকদের সরিয়ে দিচ্ছেন দলের জেলা সভাপতি। তাঁকে অপসারণ না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’’

পুলিন গাইন বলেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমরা দল গড়েছিলাম। এখন তাঁদের পদ থেকে অন্যায় ভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা কোনও ভাবেই মানব না। যখন বহিরাগতদের সঙ্গে লড়াই করা দরকার, সে সময়ে বিরোধীদের সঙ্গে চক্রান্ত করে পুরনো কর্মীদের ছাঁটাই করে দেওয়া হচ্ছে। অন্য দল থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হচ্ছে। তাই আমাদের লড়াই।’’

অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির বসিরহাট জেলার সভাপতি তারক বলেন, ‘‘দলের কর্মীরা কখনও দলীয় কার্যালয়ে তালা মারতে পারেন না। দল থেকে বহিষ্কৃতেরা বহিরাগতদের নিয়ে এসে এই কাজ করেছেন। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে সব জানানো হয়েছে। দল এর বিচার করবে।’’

BJP Inner conflict Basirhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy