বনগাঁর ঘটনায় আহত এক যুবক।—নিজস্ব চিত্র
বিজেপির দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁর লালপোল এলাকায়। মঙ্গলবার প্রহৃত যুবক নীতিশ বিশ্বাস থানায় মোহন পোদ্দার-সহ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নীতিশ বলেন, ‘‘এলাকায় বাসন্তী পুজো হচ্ছিল। আমি ও আমার বন্ধু রনি বারুই বসে গল্প করছিলাম। তখন মোহনের নেতৃত্বে কয়েকজন এসে কেন আমরা বিজেপি করি, এই বলে বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু করে। আমার বোনকেও মারধর করা হয়েছে। বিড়ির ছ্যাঁকা দিয়েছে।’’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে মোহনের মা, তৃণমূলের কাউন্সিলর সুমতি পোদ্দার বলেন, ‘‘রাজনৈতিক ফায়দা নিতে বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। রাতে চারজন ছেলেমেয়ে অশালীন ভাবে আমাদের বাগানে বসেছিল। ছেলে তাদের চলে যেতে বললে সামান্য তর্ক হয়। মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’’
অন্য দিকে, পোস্টার-ব্যানার লাগানোকে কেন্দ্র করে হাড়োয়া এবং মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মীদের হুমকি, মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সোমবার রাতে হাড়োয়ার খাসবালান্দার তেঁতুলআটি গ্রামে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলায় তাদের দলের তিনজন আহত হয়েছেন বলে বিজেপির অভিযোগ। কারও নাক ফাটে, কারও পা ভাঙে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু মঙ্গলবার হাড়োয়া থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। একই রাতে মিনাখাঁর বামনপুকুর গ্রামে ফ্ল্যাগ-ফেস্টুন লাগানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। অভিযোগ, বিজেপির ভরত দাস, পলাশ প্রধান, পঙ্কজ পাত্রকে মারধর করা হয়। গ্রামের মহিলারা রুখে দাঁড়ালে দুষ্কৃতীরা সরে পড়ে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তৃণমূলের ভরত দাসকে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলা মারধরের অভিযোগ মানতে চায়নি তৃণমূল। সায়ন্তন বলেন, ‘‘সর্বত্রই দেখছি পায়ে পা বাধিয়ে গন্ডগোল পাকাচ্ছে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদে প্রচারেও বাধা দিচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যে সম্ভব নয়, তা নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।’’
অন্য দিকে, বিজেপির তোলা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাস বলেন, ‘‘বসিরহাটে হারবে বুঝে বিজেপি কর্মীরা পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা প্রচার করছে। সম্প্রীতিক পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। পারিবারিক ঘটনাতেও রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy