E-Paper

ভাঙা ঘরে পড়েই সফল লোকেশ

লিটন আর তাঁর স্ত্রী টুম্পা চান, কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংগঠন যদি ছেলের পড়াশোনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তা হলে স্বপ্ন পূরণ হতে পারে।

সীমান্ত মৈত্র  

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৫ ০৭:৪২
বাবা, মায়ের সঙ্গে লোকেশ।

বাবা, মায়ের সঙ্গে লোকেশ। ছবি: সুজিত দুয়ারি।

বাবা মশলা-মুড়ি ফেরি করেন, মা সামলান ঘর। টিনের ঘরে ফি বর্ষায় জল পড়ে। ফুটো চাল সারানোর ক্ষমতাটুকুও নেই গোবরডাঙার কুচলিয়া গ্রামের লোকেশ বিশ্বাসদের। গোবরডাঙা খাঁটুরা হাই স্কুলের ছাত্র লোকেশ এ বার মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে ৬৭০ নম্বর পেয়ে। দু’চোখে স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। কিন্তু অভাবের সংসারে এরপর লেখাপড়া কী করে এগোবে তা নিয়ে সংশয়ের পাল্লা স্বপ্নের চেয়ে অনেক বেশি ভারী। লোকেশের বাবা লিটনের একটি ঠেলাগাড়ি আছে। তাতেই মশলা-মুড়ি, ঘুগনি, ছোলা ফেরি করেন গোবরডাঙা স্টেশনের কাছে। অসুস্থ থাকায় সেটাও অনিয়মিত হয়ে যায়। নিজের চিকিৎসা করাতে ধারদেনাও হয়েছে বিস্তর। সে সব শোধ করে কী করে ছেলের লেখাপড়া করাবেন তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না।

লিটন আর তাঁর স্ত্রী টুম্পা চান, কোনও সরকারি বা বেসরকারি সংগঠন যদি ছেলের পড়াশোনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়, তা হলে স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। পড়াশোনার পাশাপাশি লোকেশ ছবি আঁকতেও ভালবাসে। ভালবাসে ক্রিকেট খেলতে। প্রিয় খেলোয়াড় স্টিভ স্মিথ এবং বিরাট কোহলি। তাঁদের ছবি যত্ন করে রেখেছে বইয়ের মাঝে।

লোকেশ তার ভাল ফলের জন্য স্কুলের শিক্ষকদের পাশাপাশি সামান্য সাম্মানিকের বিনিময়ে যে সাত জন গৃহশিক্ষকক তাকে পড়িয়েছেন, তাঁদের অবদানের কথা বলে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরাও ছেলেটির পারিবারিক অবস্থার কথা জানি আমাদের পক্ষ থেকেও পড়াশোনার জন্য তাকে যতটা পারব সহযোগিতা করব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Gobardanga

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy