Advertisement
E-Paper

ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কাকদ্বীপে

জুলাই মাস থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ৬১ জন ভর্তি হয়েছিলেন ম্যালেরিয়ার উপসর্গ নিয়ে। ছ’জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৫০

সচেতনতা নিয়ে যথেষ্ট প্রচারের অভাব আছে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে নিকাশির সমস্যা। দু’য়ে মিলে কাকদ্বীপে বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। কাকদ্বীপ, নামখানা এবং সাগর থেকে ১৪ জনের ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে। এর মধ্যে একজনের ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়াও ধরা পড়েছিল। চিকিৎসার পরে সকলেই সুস্থ। কাকদ্বীপ মহকুমা প্রশাসন সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে। সব জায়গায় নিয়মিত ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। ভয়ের কিছু নেই।

জুলাই মাস থেকে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে ৬১ জন ভর্তি হয়েছিলেন ম্যালেরিয়ার উপসর্গ নিয়ে। ছ’জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়ে। এঁরা সাগর, কুলপি, বিশালাক্ষ্মীপুর, ঢোলাহাট, নিশ্চিন্তপুর এবং মন্দিরবাজার এলাকা থেকে এসেছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। ফ্যালসিপেরাম ম্যালেরিয়াতে গত বছর নামখানার নারায়ণপুরে একজনের মৃত্যুও হয়েছিল। পাথরপ্রতিমায় জুন মাসে দু’জন এবং জু‌লাইয়ে দু’জনের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলেছিল। সাগরে এ পর্যন্ত দু’জনের ম্যালেরিয়া হয়। তবে সুস্থ হয়েছেন দু’জনই।

ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ত্রিদিব দাস জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের এলাকায় ঘুরে ঘুরে মশার কামড় নিয়ে সচেতনতার প্রচার করার কথা। তাঁর কথায়, ‘‘প্রচার হয়নি, এ রকম খবর আমাদের কাছে আসেনি। যাঁদের চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলা হয়েছে, তাঁদেরও পরবর্তীতে ট্যাবলেট বিলি করার কথা বলা হয়েছে।’’

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার অভিযান চলার কথা ছিল। কিন্তু তা জোরকদমে হয়নি বলে অভিযোগ। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার প্রভাব বাড়ে। এই সময়েই প্রচার চালানো হয়। সপ্তাহে একদিন করে হলেও বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ঘুরে ঘুরে বাড়ির আশেপাশে জমা জল ফেলার কথা বলা হয়েছে। কী রকম কাজ হচ্ছে, তার মাসিক রিপোর্ট জমা করা হয় ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপে তা জমা হলেও সাগরে জুলাই মাসের রিপোর্টই জমা হয়নি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাধ্য হয়ে হাসপাতাল থেকেই আশা, এবং এএনম কর্মীদের দিয়ে কিছু স্কুলে প্রচার চালানো হচ্ছে।

কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্যনগর পঞ্চায়েতের থেকে প্রচার অভিযানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিলি থেকে শুরু করে কলকাতা পুরসভার ধাঁচে মশা মারার তেল ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কাকদ্বীপের বাকি পঞ্চায়েতগুলিতে কিন্তু সে রকম ভাবে কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। বিবেকানন্দ পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় জল জমার খবর এসেছে। দাসপাড়া, বুদ্ধপুরের মতো বেশ কিছু জায়গায় প্রচার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ও দিকে, রামকৃষ্ণ পঞ্চায়েতের পূর্ব গঙ্গাধরপুর এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় অপরিস্কার পরিবেশের মধ্যে জল জমছে।

Malaria কাকদ্বীপ Kakdwip
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy