রাজ্যের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন পুরসভা গোবরডাঙা। ব্রিটিশ আমলে ১৮৭০ সালে তৈরি হয়েছিল এই পুরসভা। কিন্তু হলে কী হবে, আজও পুর এলাকায় পরিকল্পিত নিকাশি ব্যবস্থা আজও গড়ে উঠল না।
অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি হয়েছে নিকাশি নালা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, নালাগুলি নোংরা আবর্জনায় ভরে থাকে। পুরসভার পক্ষ থেকে তা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। যার ফলে মশার উপদ্রব বাড়ছে। পুরবাসীর দাবি, স্থানীয় যমুনা নদী সংস্কারের অভাবে কচুরিপানা জমে বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। এর ফলেও মশার উপদ্রব বাড়ে। পুর এলাকার বন জঙ্গলও মশা বাড়ার অন্যতম কারণ।
এলাকার বাসিন্দা তথা নাট্যকার শ্যামল দত্ত বলেন, ‘‘নিয়মিত নিকাশি নালা সাফাই হয় না বলে মশার উপদ্রব হয়। মশা মারার তেল স্প্রে করা হলেও মশা মারার কামান নিয়মিত দেওয়া হয় না।’’ প্রাক্তন পুরপ্রধান সিপিএমের বাপি ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘‘বনজঙ্গল, নালা যে ভাবে সাফ করা প্রয়োজন, তা হয় না। এ ছাড়া, যমুনা নদীতে কচুরিপানা জমে। রত্না খাল ও পালশিলা খাল ভয়ঙ্কর অপরিষ্কার হওয়ার কারণে মশা বাড়ছে।’’ বাসিন্দারা জানালেন, রেললাইন ধার দিয়ে নিকাশি নালা আবর্জনা জমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
গত বছর বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সমস্যা আরও আসে। একমাত্র সরকারি হাসপাতাল গোবরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে শুধু মাত্র বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা মেলে। তা-ও আবার দিনের নির্দিষ্ট সময়ের পরে চিকিৎসক থাকেন না। ফলে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মানুষকে দূরের হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যেতে হয়।
অল্প বৃষ্টিতেই পাকাঘাট কলোনি, মিলন কলোনি, গন্ধর্বপুর, রঘুনাথপুর, পিলখানা, চণ্ডীতলার মতো বহু এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। বর্ষায় নালা উপচে পড়ে। ওই জল সরতে বহু দিন সময় লেগে যায়।
পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মশা মারতে সপ্তাহের প্রতি বুধবার ১৭টি ওয়ার্ডেই মশা মারার তেল স্প্রে করা হয় এবং কামান দাগা হয়। পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘নিকাশি নালা সাফাই নিয়ে কিছুটা ঘাটতি আছে। কারণ, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মী দিয়ে নালা সাফাই করা হচ্ছে। সরকারি কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না।’’ তাঁর দাবি, মানুষকেও সচেতন হতে হবে। তাঁরা নিকাশি নালার মধ্যে আবর্জনা, প্লাস্টিক ফেলেন, এটা বন্ধ করতে হবে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, যমুনা নদী সংস্কার ও পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালুর বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy