Advertisement
E-Paper

TMC: রাস্তা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ করলেন প্রধান

সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সুবীরকুমার জানা বলেন, ‘‘অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২২ ০৬:১১
অভিযোগ: এই ঢালাই রাস্তা ঘিরেই বিতর্ক।

অভিযোগ: এই ঢালাই রাস্তা ঘিরেই বিতর্ক। ছবি: নবেন্দু ঘোষ

একটি ঢালাই রাস্তা তৈরিকে ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ তুললেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধান। হাসনাবাদ ব্লকের পাটলি খানপুর পঞ্চায়েতের ৬০ নম্বর বুথে তাড়াগোপাল আনসার গাজির বাড়ি থেকে ট্যাংরা পারোস গাজির বাড়ি পর্যন্ত ১৯৪৫ মিটার লম্বা রাস্তা ঢালাই হওয়ার কাজ শুরু হয়েছে কিছুদিন আগে। সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ এই কাজ করছে।

কিছুদিন আগে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েতের ১৬ জন সদস্যের মধ্যে অনেকে উপস্থিত থাকলেও, ছিলেন না প্রধান পারুল গাজি ও তাঁর স্বামী আব্দুল রহিম গাজি। রাস্তার কাজ শুরুর পরে দেখতে যান প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূলের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি রহিম। রাস্তা সঠিক ভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে গোলমা বাধে। থানা-পুলিশ হয়।

৩১ মে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান। অভিযোগে তাঁর দাবি, রাস্তা সঠিক ভাবে হচ্ছে না। কোথাও ২ ইঞ্চি কোথাও ৩ ইঞ্চি কোথাও ৪ ইঞ্চি ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। অথচ, ঢালাই হওয়ার কথা ছিল ৮ ইঞ্চি।

যে বুথে কাজ হচ্ছে, সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্য রাশিদুল গাজির দাবি, প্রায় তিন বছর আগে টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ হচ্ছিল না। স্থানীয় যে ঠিকাদার রাস্তার বরাত পেয়েছিলেন, তাঁকে অনুরোধ করে রাস্তার কাজ শুরু করানো হয়েছে। কাজে সামান্য কিছু ত্রুটি থাকলেও কাজ ভাল হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও রাস্তা হওয়ায় খুশি।

তবে পারুল বলেন, ‘‘রাস্তা যেমন তেমন ভাবে করা হচ্ছে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে দলে ভারী করলে তো আর অনিয়ম সঠিক হয়ে যাবে না! রাস্তা হওয়া খুবই দরকার। কিন্তু তার মানে অনিয়ম করে নিম্নমানের রাস্তা করা হবে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’’ প্রধানের দাবি, এই রাস্তার জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সব টাকার কাজ হচ্ছে না।

সুবীর দাস নামে যে ঠিকাদার কাজ করছেন, তাঁর অবশ্য দাবি, ‘‘রাস্তা নিয়ম মেনেই হচ্ছে।’’ তিনি জানান, রাস্তার বড় অংশের কাজ হয়ে গিয়েছে। খানিকটা বাকি রয়েছে। মালপত্র পেতে সমস্যা হচ্ছে।

এই পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সক্রিয়। একদিকে রয়েছে আব্দুর রহিম গাজি, অন্য দিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সেলিম মোল্লা। সেলিম বলেন, ‘‘আসলে প্রধানের পাশে কোনও পঞ্চায়েত সদস্য নেই। প্রধান একা হয়ে গিয়েছেন। তাই এ সব অভিযোগ করে উন্নয়ন থামিয়ে দিতে চাইছেন।’’

সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সুবীরকুমার জানা বলেন, ‘‘অভিযোগের তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কোনও অনিয়ম পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

TMC Panchayat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy