কোথাও পাইপ ফুটো। কোথাও বা পাইপ ফেটে গিয়ে জল বের হচ্ছে। সমস্যা এখানেই শেষ নয়। জল ধরে রাখার চৌবাচ্চার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে বাধ্য হয়েই খেতে হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর জল। তা-ও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে সেই হচ্ছে জল।
হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে ৯টি পঞ্চায়েত। সাহেবখালি নদীর অন্য পাড়ে দুলদুলি, সাহেবখালি, গোবিন্দকাটি, যোগেশগঞ্জ ও কালীতলা— এই ৫টি পঞ্চায়েত। স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মণ্ডল, নিতাইপদ রায় বলেন, ‘‘পানীয় জলের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় লবণাক্ত জল খেতে বাধ্য হচ্ছি। পরিস্রুত পানীয় জলের অভাবে রোগ-ব্যাধি ছাড়তে চায় না।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের অভাব দেখা দিয়েছে দুলদুলি ও সাহেবখালি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে। দুলদুলির সাহেবখালি, মঠবাড়ি, দুলদুলি, দেউলি, রমাপুর, পুকুরিয়া, চাঁড়ালখালি, কাঁঠালবেড়িয়া-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে দূর থেকে এক কলসি জল আনতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের পানীয় জল নিতে রাত থাকতে উঠে কলসি নিয়ে ছুটতে হয় কলের লাইনে। কিন্তু তারপরেও যে জল মিলবে, সে নিশ্চয়তা নেই। প্রায় দিনই কলতলায় জল নিতে গিয়ে চলে ঝগড়া-মারামারি।