E-Paper

অজানা জন্তুর পায়ের ছাপে আতঙ্ক নামখানায়

গ্রামবাসীরা জানান, এলাকায় আগে বাঘের দেখা মেলেনি। কিন্তু জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে রয়্যাল বেঙ্গলের গ্রামে ঢুকে পড়া একেবারে অসম্ভবও নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ১০:০৬
এই ছাপই আতঙ্কিত করেছে নামখানার বাসিন্দাদের।

এই ছাপই আতঙ্কিত করেছে নামখানার বাসিন্দাদের। ছবি: সমরেশ মণ্ডল।

এক জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্ক ছাড়াল নামখানার নাদাভাঙা গ্রামে। শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের কয়েকটি জায়গায় ওই ছাপ দেখা যেতেই তা বাঘের বলে রটে যায়। এমনকি, কেউ কেউ বাঘ দেখেছেন বলেও দাবি করেন। বাঘের গর্জন শোনা গিয়েছে বলেও জানান কেউ কেউ। বনকর্মীরা এসে এলাকায় তল্লাশি চালালেও বাঘের খোঁজ মেলেনি। ওই ছাপ বাঘের পায়ের নয় বলে জানিয়েছে বন দফতর। বনকর্তাদের অনুমান, বাঘরোল জাতীয় কোনও জন্তু গ্রামে ঢুকে থাকতে পারে।
নাদাভাঙা গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী। গ্রামের অদূরেই সুন্দরবনের
জঙ্গল।

গ্রামবাসীরা জানান, এলাকায় আগে বাঘের দেখা মেলেনি। কিন্তু জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে রয়্যাল বেঙ্গলের গ্রামে ঢুকে পড়া একেবারে অসম্ভবও নয়। এ দিনের ঘটনার পর তাই আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষজন। রাতেই লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েন গ্রামের মহিলা-পুরুষেরা। রাতে সজাগ ছিলেন বন দফতরের কর্মীরাও।

স্থানীয় বাসিন্দা শঙ্কর সামন্ত বলেন, “আমিই প্রথমে পুকুর পাড়ে জন্তুটিকে দেখি। দূর থেকে দেখে বাঘ বলেই মনে হয়েছিল। প্রতিবেশীদের জানাই। সকলে মিলে বাঁশ ও লাঠি হাতে বাঘের খোঁজ শুরু হয়। পরে বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। বনকর্মীরা এসেও খোঁজাখুঁজি করেছেন।” সরস্বতী গিরি নামে আর এক গ্রামবাসী বলেন, “দু-এক জন জন্তুটিকে দেখলেও পরে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। সেই ছাপ অনেকটা বাঘের মতোই।”

বন দফতরের নামখানা বিট অফিসার নিখিলরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, “অতীতে সুন্দরবনের এই এলাকায় বাঘের দেখা মেলেনি। বড় বাঘরোল হতে পারে। আমরা নজর রাখছি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

namkhana

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy