Advertisement
১৯ মে ২০২৪

দীপাবলিতে বারাসত-মধ্যমগ্রাম

কেএনসি রেজিমেন্ট: তাইল্যান্ডের বুদ্ধমন্দিরের আদলে প্লাই আর ফাইবারের তৈরি ‘প্যালেস অব দ্য এলিফেন্টা’-র আদলে মণ্ডপ। দু’পাশে দু’টি হাতির মধ্যে দিয়ে ঢুকে ১১ হাজার হাতির মণ্ডপ। দেখা যাবে, গোপাল ভাঁড় ভিন রাজ্যের রাজাকে কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো মণ্ডপে নিয়ে আসছেন।

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ০২:০৯
Share: Save:

বারাসত

কেএনসি রেজিমেন্ট: তাইল্যান্ডের বুদ্ধমন্দিরের আদলে প্লাই আর ফাইবারের তৈরি ‘প্যালেস অব দ্য এলিফেন্টা’-র আদলে মণ্ডপ। দু’পাশে দু’টি হাতির মধ্যে দিয়ে ঢুকে ১১ হাজার হাতির মণ্ডপ। দেখা যাবে, গোপাল ভাঁড় ভিন রাজ্যের রাজাকে কৃষ্ণচন্দ্রের পুজো মণ্ডপে নিয়ে আসছেন।

পাইওনিয়ার অ্যাথলেটিক ক্লাব: বারাসত স্টেশন সংলগ্ন বিশাল পুকুরের চারপাশে দেখা যাবে নায়াগ্রা জলপ্রপাত। চূড়ো থেকে জল পড়বে পুকুরে। পাহাড়ি খাদ বেয়ে গুহার বাঁক ঘুরে দেখা মিলবে দেবীর ভৈরবী মূর্তির। মাঠে বসবে মেলা।

নবপল্লি সর্বজনীন: প্লাই, প্লাস্টারে রোমের ভ্যাটিকান সিটির অনুকরণে মণ্ডপ। মাদার টেরিজার সন্ত প্রাপ্তি এ বারের মূল ভাবনা। প্রতিমাও সেই ভাবনায়। এক দিকে জীবনের শান্তিকে প্রতিপালন আর অন্য দিকে দুষ্টের দমনে দেবীর উপস্থিতি তৈরি করবে মানুষ ও দেবত্বের মিলন।

বিদ্রোহী সঙ্ঘ: দক্ষিণ ভারতের ভেলোরের শ্রীপুরম লক্ষ্মীনারায়ণ স্বর্ণমন্দিরের অনুকরণে ৫০ ফুট উঁচু ফাইবার আর প্লাইয়ের মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে মাস তিনেক আগে। পৌরাণিক ভাবনায় প্রতিমা। ছোটদের মনোরঞ্জনে থাকছে আলোয় কার্টুন। রাস্তায় আলোর ফলক বসছে।

সন্ধানী: থিম, ‘নীরবে বন্দি শৈশব।’ শিশুমনের ভাবনাকে গুরুত্ব না দিয়ে জোর করে মতামত চাপিয়ে দিলে কী ভাবে শৈশব বিপন্ন হয় তা আলোর কারসাজিতে দেখা যাবে।

রেজিমেন্ট: প্লাই, প্যারিস, টিন দিয়ে তৈরি হয়েছে কেরলের স্বামী নারায়ণের মন্দির। মণ্ডপের গায়ে থাকছে কারুকাজ। আলোয় ভেসে উঠবে সার্কাসের জোকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড।

নবপল্লি ব্যায়াম সমিতি: প্লাই, ফাইবার, প্যারিস দিয়ে তামিলনাড়ুর বৃহদেশ্বর মন্দির দেখা যাবে। ১৭ হাতের প্রতিমা সোনার অলঙ্কারে ভূষিত।

শক্তিমন্দির: দেবীর একান্নটি রূপ দেখা যাবে এখানে। শৈশবের হারিয়ে যাওয়া খেলা তুলে ধরা হবে।

শতদল সঙ্ঘ: মণ্ডপ দিল্লির অক্ষয় মন্দিরের আদলে। গায়ে থাকবে রুপোর পাতের বিভিন্ন কাজ। সাবেক প্রতিমা। আলোয় ফুটে উঠেছে ভারতীয় সেনার ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ।

তরুছায়া: থিম, ‘সাধনার অঙ্গনে মাতৃ আরাধনা’। শক্তির বিভিন্ন রূপ কাল্পনিক মডেলে দেখা যাবে।

ছাত্রদল: থিম, জলতরঙ্গ। শুকনো পাতা, নেট, প্লাস্টিকের খেলনা দিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। সামনে কৃত্রিম জলাশয়, শুকনো পাতার রাজহংসে আলোর খেলা। আলোকসজ্জায় থাকছে অরণ্যদেবের নানা কীর্তি।

সাউথ ভাটরা: থিম, অজন্তার গুহাচিত্র। পাহাড়ি গুহায় ঢুকে সেই শিল্প দেখা যাবে। বৌদ্ধ ধর্মের রীতি, নীতির আদলে বিভিন্ন মাটির মডেল। সেই আদলেই প্রতিমা।

ভাটরা পল্লি: থিম, টোপর মালা। শোলার কদম ফুল, মালা, জবা দিয়ে সাজছে মণ্ডপ। শান্তি কামনায় মা আধুনিক সাজে।

ন’পাড়া ওয়েলফেয়ার কমিটি: নেপালের প্যাগোডা। সামনে বড় আর ভিতরে ছোট ছোট বুদ্ধ মূর্তি। দেবী মূর্তির সঙ্গে দেখা যাবে সমুদ্রমন্থন।

ইয়ং স্টার অ্যাসোসিয়েশন: হিমাচল প্রদেশের বুদ্ধ মন্দির। প্রতিমার দু’পাশে থাকবে শিব-পার্বতীর বিয়ে, দুর্যোধন বধ। বিশাল ষাঁড়ের মাথা দিয়ে জল পড়বে। জ্বলবে তিনশো প্রদীপ।

আগুয়ান সঙ্ঘ: থিম, রঙ্গে রংয়ের খেলা। মোটা বাঁশ, বেত, মাটির পুতুল, কাপড়, কাগজ দিয়ে মণ্ডপ। প্ল্যাস্টিক পাইপের ঝাড়বাতি।

যুবগোষ্ঠী ক্লাব: থিম, সবুজ বাঁচাও। মাটির মূর্তি, চট, খড়, পাট, গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরি মণ্ডপ। তিনটি পাতার উপরে দেবী। ছেলে কোলে নিয়ে গাছা কাটার প্রতিবাদ করছেন দেবী।

বালকবৃন্দ: রাজস্থানের ছিন্নমস্তা মন্দির। প্রতিমা এখানে শান্তিরূপে। থাকছে ফোয়ারা এবং বাহারি আলো।

মৎস্য আড়তদার কল্যাণ সমিতি: থিম, নারীশক্তি। পৌরাণিক কাল থেকে বর্তমান সর্বত্র শান্তি এনেছে নারী। অলিম্পিকে সফল তিন নারী, মাদার টেরিজার মডেল থাকবে। প্রতিমা এখানে ১০৮ হাতের।

জাগৃতি সঙ্ঘ: হস্তশিল্প ফুটিয়ে তুলতে মাদুর ও বেতে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। ১০০ বাতির ঝাড় থাকছে। দেবীর পাশে থাকবে সেতুবন্ধন এবং লঙ্কা জয়।

রাইজিং স্টার: জলের বোতল দিয়ে মুকুটের আদলে মণ্ডপ। থাকবে বিভিন্ন মডেল, আটটি হাতি। প্রতিমা এখানে সোনালি রঙের।

এনসিএসসি: গ্রাম্য পরিবেশ। কুলো, ঝুড়ি, বাঁশ দিয়ে নিরিবিলি এক গ্রাম। শ্রীকৃষ্ণকে ঝুড়িতে মাথায় করে নিয়ে যাচ্ছেন বাসুদেব।

মধ্যমগ্রাম

মাইকেলনগর নেতাজি সঙ্ঘ: বাঁশ দিয়ে গড়ছে নেপালের প্যাগোডা। শিবকালী ও কৃষ্ণরূপে প্রতিমা। চন্দননগরের আলোয় থাকছে সবুজ সাথী, কন্যাশ্রীর মতো রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, পশু, পাখি।

বসুনগর যুবকবৃন্দ অ্যাথলেটিক ক্লাব: সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। পেখম মেলা ময়ূরের শৈলীতে মণ্ডপ। দু’পাশে শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদা মা। পুকুরে রং-বেরঙের আলোয় ঝরনা।

ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাব: সুভাষ ময়দানে হচ্ছে চিনের প্যাগোডা। প্লাস্টিকের বোতল আর ছিপি দিয়ে মণ্ডপ। সাবেক প্রতিমা। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা সেজে উঠবে আলোর গেটে।

নবজাগরণ সঙ্ঘ: গঙ্গানগর-দোলতলা দক্ষিণপাড়ার এই পুজোর এ বার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। ধামসা মাদলের ছন্দে লালপাহাড়ি দেশ। আদিবাসী রমণীর বেশে প্রতিমা।

গঙ্গানগর নেতাজিনগর অধিবাসীবৃন্দ: এ বার পঁচিশ বছর। থিম পুরনো মন্দির। মণ্ডপে থাকছে মানাসই প্রতিমা।

মহাজাতি উদয়ন সঙ্ঘ: ঋষি অরবিন্দ পার্কের এই পুজোয় এলে দেখা যাবে খালের উপর বাঁশের সাঁকো। মেঠো পথ। জোনাকি জ্বলছে, ঝিঁঝিঁ ডাকছে। বড় বড় গাছগাছালির ফাঁক দিয়ে শ্যামনগরের মন্দির।

অগ্রদূত সঙ্ঘ: বিরাটির এই পুজো এ বার ৪৭ বছরে। মাদুরাইয়ের মিনাক্ষী মন্দিরের আদলে হচ্ছে মণ্ডপ। প্রতিমা কাচের তৈরি।

বসুনগর মৈত্রী সঙ্ঘ: থিম, চোখ। চোখের আদলে মণ্ডপ। মানানসই প্রতিমা।

বোসনগর প্রতাপ সঙ্ঘ: থিম, অন্ধকার থেকে আলোয় উত্তরণ। মানানসই প্রতিমা ও আলোকসজ্জা।

একত্র সঙ্ঘ: প্রতিমা দর্শনে দর্শনার্থীদের পাহাড়ে উঠতে হবে। সেখানেই মন্দির। প্রতিমা সাবেক।

দেবদাসপল্লি উদয়ন সঙ্ঘ: থিম, অগ্নিকন্যা। আগুনের বলয় থেকে দেবী উঠে আসবেন। আলোর বিভিন্ন কারুকাজ থাকবে।

চণ্ডীগড় ইউনাইটেড অ্যাথলেটিক ক্লাব: বাঁশ, কাপড়, থার্মোকল দিয়ে তৈরি হচ্ছে কাল্পনিক মণ্ডপ। মহাভারতের বিভিন্ন মডেল নিয়ে সাজছে দেবী।

ইয়ং সেন্টার: সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে থিম, শিশু শ্রম। ঝিনুক দিয়ে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।

মেঘদূত শক্তি সঙ্ঘ: মহারাষ্ট্রের একটি মন্দির। ভিতরে প্লাইউডের কারুকাজ। রামায়ণ-মহাভারতের থিমে প্রতিমা। মাঠ জুড়ে বসবে মেলা। থাকছে আলোর কারুকাজ।

দোহারিয়া শৈলেশনগর যুবক সঙ্ঘ: থিম, রামায়ণ। দেবীর দু’পাশে রামায়ণের দৃশ্যাবলি। মাঠে সীমান্তে সেনা প্রহরা, মাদার টেরিজার মূর্তি ও শান্তির বাণী। আলোয় তৈরি হচ্ছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আদলে গেট। থাকছে ছোটদের মনোরঞ্জন।

পূর্বাশা যুব পরিষদ: থিম, বিশ্ব বাংলা ট্রেন। বাতানুকূল ট্রেনে উঠে ঠাকুর। গোটা বিশ্বে বাংলার প্রগতির নানা ঘটনাবলি দেখা যাবে। হাওড়া ব্রিজের আদলে আলোর গেট।

শ্রীনগর ২ নম্বর অধিবাসীবৃন্দ: থিম, হোক চৈতন্য এ কালে। মানুষকে সচেতন করার জন্য সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ-এর বিভিন্ন প্রয়াস। হেলমেট পরিয়ে দেওয়া হবে বাইক আরোহীকে। জীবন্ত মডেলে প্রতিমা।

বিধানপল্লি যুবগোষ্ঠী: থিম, আগমনী। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী শ্যামা মায়ের সমস্ত রূপ দেখা যাবে মডেলে।

চৈতালি উদ্যান কিরণ পার্ক অধিবাসীবৃন্দ: থিম, অঞ্জলি। মায়ের পুজো করতে যা যা উপকরণ লাগে তা দিয়েই তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ।

নবারুণ সঙ্ঘ: থিম, একপায়ে দাঁড়িয়ে। তালপাতা ও তালগাছের বিভিন্ন অংশ দিয়ে হচ্ছে মণ্ডপ।

সুভাষপল্লি অধিবাসীবৃন্দ: থিম, বধূবরণ। টোপরের মণ্ডপ। মাটির মডেলে গণবিবাহের বিভিন্ন রূপ দেখা যাবে।

রবীন্দ্রপল্লি অ্যাথলেটিক ক্লাব: মাদুরের মণ্ডপ। ভিতরে হচ্ছে অপরূপ কারুকাজ।

সাহারা অধিবাসীবৃন্দ: তৈরি হচ্ছে কাল্পনিক মন্দির। সাবেকি দেবী।

নেতাজি সঙ্ঘ: ভাদু উৎসব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Barasat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE