নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, বিশেষ পর্যবেক্ষক এস মুরগানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) শুনানিতে গিয়ে অযথা হয়রানি হতে হচ্ছে। বিনা কারণে মানুষকে হেনস্থা করছে কমিশন। এই অভিযোগ তুলে মুরগানের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁর গাড়িতে চড়-থাপ্পর মারা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির দরজার লক্ও! ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ বাহিনী। তারাই বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে মুরগানকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
রাজ্য জুড়ে চলছে এসআইআরের শুনানিপর্ব। প্রতি দিন ‘নো ম্যাপিং’ ভোটারদের ডেকে তথ্য ও নথি সংগ্রহ করছে কমিশন। তবে অনেকের অভিযোগ, শুনানিপর্বে ভোটারদের ঝক্কি সামলাতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বয়স্কদের। সোমবার সেই ক্ষোভ উগড়ে পড়ল মগরাহাট সিরাকল হাইস্কুলে এসআইআরের শুনানিকেন্দ্রে! ওই কেন্দ্রে শুনানির কাজ তদারক করতে গিয়েছিলেন মুরগান। সে সময়ই গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন মহিলা। তাঁদের অভিযোগ, বাড়িতে বাড়িতে না-গিয়ে স্কুলে বসে এসআইআরের কাজ করা হচ্ছে। ডেকে পাঠানো হচ্ছে গ্রামবাসীদের। বহু ক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বয়স্কদের। কমিশন বিনা কারণে সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করছে। একই সঙ্গে উঠেছে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়ার দাবিও। মুরগানকে কাছে পেয়ে তাঁর কাছেই এই দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ এসআইআরের নামে হয়রানি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
বিক্ষোভকারীদের দাবি, বয়স্ক থেকে প্রতিবন্ধী— সকলকে শুনানির নোটিস পাঠানো হচ্ছে। তাঁদের শুনানিতে এসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, তাতেও হেলদোল নেই কমিশনের। কেন বয়স্ক বা প্রতিবন্ধীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুনানির কাজ করছে না কমিশন, প্রশ্ন গ্রামবাসীদের।