Advertisement
E-Paper

পরিশ্রমই সার, বাধ মানছে না জলের তোড়

চাষের জমি, পুকুর আগেই ভেসেছিল। এ বার ভাসল ঘর-বাড়ি। কিছু মাটির বাড়ি ভেঙেছে। হাজারখানেকের বেশি মানুষ বাধ্য হয়ে উচুঁ জায়গায়, নয় তো বাঁধের উপরে আশ্রয় নিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৫৪
জল ঢুকছে গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।

জল ঢুকছে গ্রামে। নিজস্ব চিত্র।

চাষের জমি, পুকুর আগেই ভেসেছিল। এ বার ভাসল ঘর-বাড়ি। কিছু মাটির বাড়ি ভেঙেছে। হাজারখানেকের বেশি মানুষ বাধ্য হয়ে উচুঁ জায়গায়, নয় তো বাঁধের উপরে আশ্রয় নিয়েছেন।

সোমবার গভীর রাতে জোয়ারে রায়মঙ্গল নদীর জল বাড়ায় প্রায় দু’শো ফুট বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছিল হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি পঞ্চায়েতের পুকুরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। দিন-রাত এক করে মাটির বস্তা এবং পলিথিন দিয়ে বাঁধ বাঁধার চেষ্টা চালান স্থানীয় মানুষ। তাতেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি।

মঙ্গলবার সেচ দফতরের পক্ষে জেনারেটর জ্বালিয়ে আলোর ব্যবস্থা করে রাতভর কাজ করেও জলের তোড় ঠেকানো সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ধীরে ধীরে নোনা জল ছড়িয়ে পড়ছে বড় এলাকা জুড়ে।

বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে দু’শোর বেশি বাড়িতে নোনা জল ঢুকেছে। প্রাথমিক ভাবে পলিথিন, চিঁড়ে এবং গুড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওষুধ-সহ চিকিৎসকও পাঠানো হয়েছে গ্রামে। চারশো বিঘা ধানের জমি বর্তমানে নোনা জলের তলায়।’’ বিডিও জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা তো বটেই, পঞ্চায়েত এবং সেচ দফতরের পক্ষেও বাঁধ বাঁধার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সুন্দরবন এলাকায় ভাটার পরে দ্রুত জোয়ার এসে পড়ায় বাঁধ বাঁধার কাজ কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও কেউ হাল ছাড়ছেন না। ইতিমধ্যেই এলাকার পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছেন প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকেরা।

মানুষজনের অভিযোগ, নদীবাঁধে ঠিক মতো ইটের সোলিং না হওয়ায় বিপত্তি বেড়েছে। দুর্গতদের মধ্যে ভবেন পাত্র, কানাই মণ্ডল, রতন বৈদ্যরা বলেন, ‘‘মাটির বস্তা এবং পলিথিন দিয়ে আমরা শতাধিক মানুষ বহু চেষ্টা করেও জলের চাপের কাছে হার মানতে বাধ্য হলাম। নোনা জলে একের পর একটা এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উৎসবের মুখে আমাদের বহু টাকার ধান এবং মাছের ক্ষতি হয়ে গেল।’’

বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘যাতে দ্রুত বাঁধ মেরামতি সম্ভব হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। আমার বিধায়ক কোটা থেকেও দুর্গতদের জন্য পলিথিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

Farmers Dam Rain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy