Advertisement
E-Paper

বিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে অবরোধ

ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতি বলেন, ‘‘ঝড়ে চারিদিকে এত গাছ ভেঙে পড়েছে যে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০২০ ০৪:২৫
বিক্ষোভ: ভাঙড়ে উত্তেজিত জনতাকে বোঝাচ্ছেন পুলিশ। ছবি: সামসুল হুদা

বিক্ষোভ: ভাঙড়ে উত্তেজিত জনতাকে বোঝাচ্ছেন পুলিশ। ছবি: সামসুল হুদা

বিদ্যুতের দাবিতে এ বার রাস্তা অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার বিকেলে ভাঙড়ের কাশীপুর কিশোরভারতী স্কুল মোড়ে ভাঙড়-লাউহাটি রোড অবরোধ হয়। পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আমপানের পরে এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবার কোনও উন্নতি হয়নি। ভাঙড়ের অধিকাংশ এলাকা এখনও অন্ধকারে ডুবে।

স্থানীয় বাসিন্দা রিনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই গরমে বাড়ির বাচ্চা ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ভাঙড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হল না। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না।’’

ভাঙড় ছাড়াও কাশীপুর থানা, জিরেনগাছা ব্লক হাসপাতালেও এখনও বিদ্যুৎ আসেনি। হাসপাতালে জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে তাই ঘণ্টা জেনারেটর চালু রাখতে হচ্ছে।

অন্য দিকে, ভাঙড়ের পানাপুকুর গ্রামে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে গ্রামের মহিলারা সন্ধ্যায় ব্লক অফিসে এসে বিডিওকে স্মারকলিপি জমা দেন।

ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতি বলেন, ‘‘ঝড়ে চারিদিকে এত গাছ ভেঙে পড়েছে যে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করতে বেশ কিছুটা সময় লাগছে। হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে যাতে দ্রুত হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়।’’

বিদ্যুৎ ও জলের দাবিতে বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা মাটির কলসি এবং প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে বসিরহাটের পিঁফা বাজার এলাকায় বসিরহাট-ন্যাজাট রাস্তার উপরে বসে অবরোধ করেন। পুলিশ গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।

Bhangar Electricity
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy