Advertisement
E-Paper

নদীবাঁধ ভেঙে ফের প্লাবিত এলাকা

রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ গোমর নদীর জল বাড়ায় ধস নামে প্রায় আড়াইশো ফুট এলাকা জুড়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৩৫
ভোগান্তি: ফের এই অবস্থা পাথরপ্রতিমার গ্রামে। ছবি: দিলীপ নস্কর

ভোগান্তি: ফের এই অবস্থা পাথরপ্রতিমার গ্রামে। ছবি: দিলীপ নস্কর

ফের অমাবস্যার কটালে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল বিভিন্ন এলাকা। নোনা জল ঢুকে মাছের পুকুর, কৃষি জমি, মাটির ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেকের ঘরে জল ঢুকে থাকায় রাস্তার উপরে আশ্রয় নিতে হয়েছে।

শুক্রবার অমাবস্যার কটাল শুরু হওয়ার পরে সাগরের বঙ্কিমনগরে জল ঢুকতে শুরু করে। বঙ্কিমনগর গ্রামের কাছে প্রায় ৫০০ ফুট বটতলা নদীবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। দেড়শো বাড়িতে নোনা জল ঢুকেছে। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই বাঁধটি তৈরির কাজ চলছিল। তার মধ্যেই ফের ভাঙল। ভাটা পড়লেই পঞ্চায়েত থেকে বাঁধ মেরামতির জন্য বলা হয়েছে। আপাতত অস্থায়ী ভাবে তৈরি করা হলেও পরে পাকাপাকি ভাবে ওই বাঁধ তৈরি হবে।’’

পাথরপ্রতিমা গোপালনগর পঞ্চায়েতে টুকরো গোপালনগর গ্রামের কাছে প্রায় ৩০ ফুট সোলেমারি নদীবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বেশ কিছু ঘরবাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় বাড়ির লোকজন উঁচু রাস্তার উপরে আশ্রয় নিয়েছেন। বাসিন্দারা বলেন, ‘‘কোনও সরকারি ত্রিপল না পাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছি। বৃষ্টি হলেই বিপদে পড়তে হবে। বাড়িতে জল ঢুকে থাকায় খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।’’ কুলপির রামকিশোর পঞ্চায়েতে হাঁড়াগায়েনপাড়ার কাছে শুক্রবার সকালে ভাটার সময়ে প্রায় ৭০ মিটার ধস নেমেছিল। সে দিন কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। কিন্তু এই কটালে গোটা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বাঁধের উপরে ইট পাতা রাস্তাও। তড়িঘড়ি সেচ দফতর ও পঞ্চায়েত থেকে বালির বস্তা ফেলে জল আটকানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কুলপির বিডিও সঞ্জীব সেন বলেন, ‘‘জল আটকানোর জন্য সেচ দফতর কাজ শুরু করেছে।’’

নদীবাঁধে ধস নেমেছে গোসাবা ব্লকের পাখিরালয়ে। রবিবার ভোর ৪টে নাগাদ গোমর নদীর জল বাড়ায় ধস নামে প্রায় আড়াইশো ফুট এলাকা জুড়ে। ধস নামলেও বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢোকেনি। রবিবার সকাল থেকেই বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন গ্রামের মানুষ ও পঞ্চায়েত। পরে অবশ্য সেচ দফতর মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে বাঁধ মেরামত করে এ যাত্রায় গ্রামে জল ঢোকা আটকাতে সক্ষম হয়েছে। ডাঁসা নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গ্রামে। বাঁধের পাশের প্রায় ৩০টি বাড়িতে রাতে জল ঢোকে। তবে সকালে ভাটা হলে জল নেমে যায়। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ হাসনাবাদ থানার পাটলি খাঁপুর পঞ্চায়েতের খলিসাখালির চব্বিশ বিঘা এলাকায় জল ঢোকে। স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান পারুল গাজি বলেন, “সকাল হতেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।’’

Village flood river dam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy