সারা দেশের হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষের কাছে এই দ্বীপ ‘কপিলমুনির ধাম’। আয়লা, বুলবুল, ফণী, আমপানের মতো ঘূর্ণিঝড় এসে কার্যত লন্ডভন্ড করে দিয়েছে এই দ্বীপ। তবে সব ক্ষত সারিয়ে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সেই সাগরদ্বীপের দীর্ঘদিনের সঙ্কট নাব্যতা। প্রতিনিয়ত মুড়িগঙ্গায় চর পড়ে অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে সুন্দরবনের শেষ প্রান্তের এই দ্বীপ ভূখণ্ড। যদিও সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা।
সাগরদ্বীপকে মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করেছে মুড়িগঙ্গা নদী। কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ থেকে এই নদী পেরিয়েই যেতে হয় সাগরদ্বীপে। কিন্তু সেই নদী পথই বাধ সেধেছে যোগাযোগে। দিন দিন বাড়ছে পলি জমার পরিমাণ। নাব্যতা কমে যাওয়ায় ভেসেল চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে মুড়িগঙ্গা। প্রায় ৩ কিলোমিটার চওড়া এই নদীর মাঝে পলি জমে বহু চর তৈরি হয়েছে। ভাটার সময় সেই চরগুলি স্পষ্ট দেখা যায়। প্রায়শই ভাটার সময় ভেসেল ঘাটে ভিড়তে পারে না। জোয়ারের অপেক্ষায় যাত্রী-সহ চরেই আটকে থাকতে হয় ভেসেলকে।
সাগরদ্বীপ থেকে ধান পান-সহ মরসুমের সবজি আসে কাকদ্বীপ বাজারে। রুজি-রুটির টানে কাকদ্বীপে আসেন এলাকার মানুষ। যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহণের জন্য ভেসেল এবং বার্জই একমাত্র ভরসা। মুমূর্ষু রোগীদেরকেও নদী পেরিয়ে আনতে হয় শহরে। স্থানীয়দের দাবি, গত কুড়ি বছর ধরে এই সমস্যায় নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে তীর্থযাত্রীদের। যার জেরে প্রত্যক্ষ ভাবে প্রভাব পড়ছে দ্বীপের অর্থনীতিতে।