দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে তৃণমূল উপ-পুরপ্রধানকে হেনস্থার পাশাপাশি, গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শনিবার রাতে খড়দহের ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতীর। ঘটনার পরেই রহড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন উপ-পুরপ্রধান সায়ন মজুমদার। যদিও রবিবার রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের সহকারী নগরপাল (ঘোলা) তনয় চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রহড়ার কল্যাণনগর বটতলায় দলীয় কার্যালয়ে প্রতিদিন সকালে ও রাতে এসে বসেন সায়ন। তিনি জানাচ্ছেন, ভোটার তালিকার কাজ সেরে শনিবার রাত ১১টা নাগাদ কার্যালয়ের সামনে বসেছিলেন। সেখানে দলীয় কয়েক জন কর্মীর সঙ্গে ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
অভিযোগ, আচমকা তিনটি বাইকে চেপে ৭-৮ জন দুষ্কৃতী সেখানে আসে। বাইক থেকে নেমে হেমন্ত মণ্ডল, পেঁয়াজ ছোটকা-সহ আরও কয়েক জন দুষ্কৃতী সায়নের নাম করে গালিগালাজ শুরু করে। সায়ন ও অন্যেরা প্রতিবাদ করতেই তাঁকে ধাক্কা মারে ওই দুষ্কৃতীরা। তখন দু’তরফে বচসা বেধে যায়। এর পরেই সায়নকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ওই দুষ্কৃতীরা চলে যায়।
বিরোধীরা এই ঘটনাকে শাসকদলের গোষ্ঠী-কোন্দল বলে কটাক্ষ করে দাবি করেছে, ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছে, তারা সকলেই তৃণমূলকর্মী। তবে পেশায় শিক্ষক সায়নের দাবি, ‘‘এরা সকলেই দুষ্কৃতী। প্রয়াত বিধায়ক কাজল সিংহের উপরেও কয়েক বছর আগে এরাই হামলা করেছিল। এ বার অকারণে আমার উপরে চড়াও হল।"
খড়দহের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোনও অন্যায় কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। কেউ তা করলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)