একাধিক বোমা বিস্ফোরণের ফলেই টিটাগড়ের বহুতলের পাঁচতলার ঘরের দেওয়াল ধসে নীচের বস্তিতে ছিটকে পড়েছিল বলে মঙ্গলবার জানাল পুলিশ। সোমবার সাতসকালে টিটাগড়ের এস এস পথ, বাঁশবাগান এলাকার যে বহুতলে বিস্ফোরণ হয়, রাতেই সেখানে পৌঁছেছিল ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক-সহ ক্রু়ড বোমা তৈরির কিছু সরঞ্জাম সংগ্রহ করে তারা। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি তৃণমূলের আরমান মণ্ডল ওরফে মহম্মদ রিয়াজউদ্দিন-সহ তিন জনকে। মঙ্গলবার ধৃতদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিনও আরমান দাবি করেন, ‘‘ওই ঘরের চাবি আমার কাছে থাকলেও বোমা আমি রাখিনি।’’
তদন্তকারীরা জানান, ঘরের মধ্যে কিছু বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম মজুত ছিল। বদ্ধ ঘরে অতিরিক্ত গরমে সেগুলি এমনিতেই ফাটার উপক্রম হয়েছিল। তার মধ্যে ইঁদুর জাতীয় কোনও প্রাণী প্রায় ছ’টি বোমা মাটিতে ফেলায় সেগুলি ফেটে যায়। এই ক্রুড বোমাগুলিতে বারুদ ছাড়া অন্য কোনও বিস্ফোরক ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানায়। ব্যারাকপুরের নগরপাল অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘অপরাধমূলক কাজের জন্যই বোমাগুলি মজুত করা ছিল। এক জন পুরপ্রতিনিধি ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এই ধরনের ঘিঞ্জি এলাকার আবাসনে যদি কোনও বন্ধ ঘর বা স্টোর রুম থাকে, যেগুলির ভিতরে কী আছে তা আবাসিকদের অজানা, সেগুলিও খতিয়ে দেখছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)