ক্লাস নিচ্ছেন তৃণমূল নেতা বাপি হালদার।
শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মী মিলে ১৫ জন আছেন স্কুলে। ধর্মঘটের দিন এসেছিলেন মাত্র এক জন শিক্ষিকা। হাজির ছিল পাঁচ জন পড়ুয়া। তাদের ক্লাস নিয়েছেন শিক্ষিকা।
ঘটনাটি বনগাঁর সুভাষনগর জীবনস্মৃতি ইনস্টিটিটিউশনের। স্কুল সূত্রের খবর, স্বাতী সরকার সাধুখাঁ নামে ওই শিক্ষিকা শুক্রবার দু’টি ক্লাস নিয়েছেন। সপ্তম, নবম এবং দশম শ্রেণিতে এক জন করে পড়ুয়া এসেছিল। অষ্টম শ্রেণিতে এসেছিল দু’জন। স্বাতীর কথায়, ‘‘স্কুল তো খোলা। তাই এসেছি। যারা এসেছিল, তাদের ক্লাস নিয়েছি।’’
মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে ছাত্রছাত্রী প্রায় ৫ হাজার। ৬০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মচারী আছেন। তাঁদের কেউ আসেননি স্কুলে। তবে কিছু ছাত্রছাত্রী এসেছিল শুক্রবার। স্কুল সচল রাখতে গতকাল থেকেই পথে নেমেছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন দলের মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপি হালদার। এ দিন তিনি যান কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলে। কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, গৃহশিক্ষককে ডেকে ছেলেমেয়েদের ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করেন। নিজেও ক্লাস নিয়েছেন।
বাপি বলেন, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে ধর্মঘটের বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, ক্লাস সচল রাখতে। আজ গিয়ে দেখি, ছাত্রছাত্রীরা অনেকে এসেছে। কিন্তু শিক্ষকেরা সকলেই গরহাজির। তাই ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করি।’’ এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘আমি আগের দিন জানিয়ে দিয়েছিলাম, ধর্মঘট সমর্থন করব। পরিবর্তে শনিবার পূর্ণদিবস ক্লাস নেওয়া হবে। কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী, ছাত্রছাত্রী আসেননি স্কুলে। আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের ডেকে নিয়ে ক্লাস করানো হয়েছে।’’ —নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy