বিদ্যুতের সংযোগ রয়েছে। কিন্তু তার পরেও গঙ্গাসাগর মেলার পুরো পরিষেবা চলে জেনারেটর দিয়ে। এর ফলে প্রতি বছর রাজ্য সরকারের বাড়তি খরচ হয়। সোমবার গঙ্গাসাগরের একটি সরকারি বাংলোয় আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তুললেন জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মেলার সময় প্রায় ১ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। তার জন্য বিদ্যুৎ দফতরের নিজেদের পরিকাঠামো থাকলেও সেটি ব্যবহার না করে বাইরে থেকে জেনারেটর ভাড়া করা হয়। বৈঠকে সুব্রতবাবু জানান, মেলার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা দিতে হয়। কিন্তু সেটি ব্যবহার না করে পুরোপুরি মেলাটি জেনারেটর দিয়ে চালানোয় বাড়তি প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ হয়।
এ দিনের বৈঠকে সুব্রতবাবু প্রশ্ন করেন, ‘‘একই কাজের কেন দু’বার করে টাকা খরচ হবে?’’ বিদ্যুৎ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা জানান হঠাৎ লোডশেডিং এড়াতেই কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয় না। তাঁদের আবেদন, এ বছর এই ব্যবস্থা চালানো হোক। তখন সুব্রতবাবু জানান, পরের বছর থেকে দু’বার টাকা দেওয়া হবে না।
এ দিন মন্ত্রী মেলা চত্বরে বাড়তি দুটি এটিএম মেশিন বসানোর পরামর্শ দেন। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এ বার মেলার খরচ প্রায় ৬০ কোটি টাকা। জেলাশাসক পিবি সালিম জানান, এই খরচ গত বছরের থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকা কম। সূত্রের খবর, গত বছর বেসরকরি সংস্থাকে দিয়ে ড্রেজিংয়ের জন্যই বাড়তি টাকা খরচ হয়েছিল। এ বছর অবশ্য ড্রেজিং নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।
কাকদ্বীপ থেকে বার্জে করে গাড়ি পারাপার হয়। কিন্তু কচুবেড়িয়ায় জেটিতে গাড়ি ওঠার জন্য স্ল্যাব ভেঙে বার বার বিপত্তি হচ্ছে। এ দিনের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা। সুব্রতবাবু বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করলে ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জানান, স্থায়ী কাজের জন্য পূর্ত দফতরের মতামত চাওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy