অদৃশ্য: যশোর রোডে তোলা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বেআইনি ট্রাক। রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য ফেলা। আঁধার পথ চিরে শোঁশোঁ করে বেরিয়ে যাচ্ছে নম্বরপ্লেটহীন বাইক, ছোট গাড়ি, ট্রাক। হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক নিয়ে যুবকেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এটিএমে রক্ষীর দেখা নেই। পুলিশের তল্লাশি কম। বেশির ভাগ এলাকা আলোহীন।
বনগাঁ থেকে বারাসত পর্যন্ত প্রায় ৫৬ কিলোমিটার যশোর রোড বা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের রাতের চিত্র।
নিরাপত্তা নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রাতে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। রাতে মোবাইল টহলের মাধ্যমেও অনেকটা এলাকায় পুলিশ টহল দেওয়া হচ্ছে।’’
হাতে গোনা কয়েকটি বাজার এলাকায় আলোর দেখা মেলে। না হলে গোটা সড়কটিই অন্ধকারের ডুবে আছে। উল্টো দিকে আলো দেখা গেলেই বুঝতে হবে গাড়ি আসছে। বামনগাছি মোড়, নরসিংহপুর, গুমা খাল এলাকায় দেখা গেল সড়ক দখল করে বেআইনি ভাবে দাঁড়িয়ে আছে বহু ট্রাক। বিড়া চৌমাথা থেকে অশোকনগর পর্যন্ত গোটা দশেক এলাকায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে ইমারতি মালপত্র।
এমনিতেই রাস্তাটি এত সরু যে, দু’টি ট্রাক পাশাপাশি যেতে পারে না। তার উপরে বেআইনি পার্কিং ও ইমারতি মালপত্র থাকায় কার্যত প্রাণ হাতে নিয়েই যাতায়াত করতে হয় মানুষকে। রাত জুড়ে এর মধ্যেই যান চলাচল করে। বিশেষ করে পেট্রাপোল সীমান্তে বাণিজ্যের জন্য আসা যাওয়া করা ট্রাকগুলি বেপরোয়া ভাবে ছুটে চলছে। অনেক ট্রাকেই দেখা গেল নম্বর প্লেট এমন ভাবে লাগানো হয়েছে, যা সঠিক ভাবে দেখা যাচ্ছে না। কয়েকটি ট্রাকে দেখা গেল নম্বর প্লেটগুলি ধুলোয় ঢাকা। সড়কের পাশের পেট্রোলপাম্পগুলিতে রাতে তেল পাওয়া যায় না। পাম্পগুলিতে নিরাপত্তারও কোনও ব্যবস্থা নেই। কিন্তু ওই সড়কের বিভিন্ন পাম্পে অতীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
হাবরা ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় দেখা গেল পুলিশ মদ্যপ ও হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোর জন্য দুই যুবককে আটক করেছে। কিন্তু ওই রাতেও হেলমেট ছাড়া মহিলাকে বাইকের পিছনে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, এমন দৃশ্যও চোখে পড়ল।
বারাসত চাঁপাডালি মোড়, অশোকনগর বিল্ডিং মোড়, হাবরা ১ নম্বর রেলগেট, গাইঘাটা থানার সামনে দেখা গেল পুলিশ মোতায়েন আছে। গাড়ি থামিয়ে তল্লাশিও চলছে। বাকি এলাকায় পুলিশ চোখে পড়েনি।
জেলার পরিবহণ আধিকারিক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, ‘‘ট্রাকের সামনে ও পিছনে এমন ভাবে নম্বর প্লেট লাগাতে হবে, যাতে সহজেই তা দেখা যায়। না হলে তা বেআইনি।’’
পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হয় বলে তাঁর দাবি। ধরা পড়লে এখন ১০০০ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিদ্ধার্থবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy