Advertisement
E-Paper

কাদা মাড়িয়ে স্কুলে আসতে সঙ্গে নিতে হয় বাড়তি পোশাক

হাঁটু সমান কাদা-জল ভেঙে স্কুলে আসাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে পড়ুয়াদের। ব্যাগের মধ্যে আরেক প্রস্থ জামা-কাপড় আনতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের। প্রতিবাদে সোমবার দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোঁসাইপুর বাজার থেকে কেয়াডাঙা মাদ্রাসা, চাঁদপুর থেকে দক্ষিণপাড়া কুটিরমাঠ এবং কেয়াডাঙা স্কুল থেকে দেগঙ্গা-হাড়োয়া রোড পর্যন্ত মোট ৪ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা শোচনীয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৪ ০০:২১
এই পথেই যাতায়াত করে বাড়ছে অসন্তোষ।—নিজস্ব চিত্র।

এই পথেই যাতায়াত করে বাড়ছে অসন্তোষ।—নিজস্ব চিত্র।

হাঁটু সমান কাদা-জল ভেঙে স্কুলে আসাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে পড়ুয়াদের। ব্যাগের মধ্যে আরেক প্রস্থ জামা-কাপড় আনতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের। প্রতিবাদে সোমবার দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা।

ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গোঁসাইপুর বাজার থেকে কেয়াডাঙা মাদ্রাসা, চাঁদপুর থেকে দক্ষিণপাড়া কুটিরমাঠ এবং কেয়াডাঙা স্কুল থেকে দেগঙ্গা-হাড়োয়া রোড পর্যন্ত মোট ৪ কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা শোচনীয়। বিশেষত, বষার্কালে শিক্ষক শিক্ষিকা-সহ ছাত্রছাত্রী এবং গ্রামবাসীদের জল-কাদায় নাজেহাল হয়ে যাতায়াত করা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলি, মহম্মদ কুতুবুদ্দিনেরা বলেন, “দীর্ঘ মেরামতির অভাবে তিনটি রাস্তা অত্যন্ত বেহাল। ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, রাতবিরেতে অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াও কষ্টকর। কোনও দলের নেতাই রাস্তা পাকা করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখান না।”

ওই পঞ্চায়েতের গোঁসাইপুর থেকে পারুলিয়া হয়ে গাংনিয়ার পূর্বপাড়া, জুয়ারিয়া থেকে গাংনিয়ার পশ্চিমপাড়া এবং কেয়াডাঙা থেকে হামাদামা বাজার পর্যন্ত তিনটি রাস্তার প্রায় ১২ কিলোমিটার অঞ্চলের অবস্থাও খুবই খারাপ। সম্প্রতি স্থানীয় পারুলিয়া আদর্শ হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক এবং শিক্ষকেরা পঞ্চায়েত ভবনের সাটার ফেলে চার ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তরফে রাস্তার কাদা দূর করতে ইট ফেলা হলে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়।

এর পরেও মেলেনি কোনও স্থায়ী সুরাহা। স্কুল-পড়ুয়ারা বলে, “রাস্তার যা অবস্থা, তাতে একটু বৃষ্টি হলে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায়ই জল-কাদার মধ্যে পড়ে হাবুডুবু খেতে হয়। ফলে বাড়তি পোশাক ও গামছা সঙ্গে রাখতে বাধ্য হই। রোজ এ ভাবে স্কুলে আসা সম্ভব নয় বলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে রাস্তা মেরামতের জন্য বলা হলেও তাঁরা কোনও গা করেন না।”

এরই প্রতিবাদে এ দিন বেলা ১০টা নাগাদ কেয়াডাঙা প্রাথমিক স্কুল এবং মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা পোস্টার হাতে চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনের ভবনটিতে ঢোকার পথ আটকে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘেরাও হন পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান। পঞ্চায়েত ভবনে ঢোকার দরজার সাটার খুলতে দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ প্রধান নমিতা দাস এবং উপপ্রধান জাহাঙ্গির হোসেনের। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারাও রাস্তা মেরামতের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বেলা ১টার পরে বিক্ষোভ ওঠে।

রাস্তার অবস্থা যে সত্যিই যথেষ্ট খারাপ হয়ে পড়েছে কার্যত সে কথা স্বীকার করে নিয়ে চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা দাস বলেন, “রাস্তাগুলি ভাল ভাবে করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দু’চার দিনের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হবে।”

southbengal basirhat blockade student
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy