Advertisement
১৯ মে ২০২৪

দুই সঙ্গী গ্রেফতার, থানার দরজা ঝাঁকালেন আরাবুল

দুই সঙ্গী আটক হওয়ার ক্ষোভে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে থানার সদর দরজা ঝাঁকাতে দেখল জনতা। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানার গেট ঝাঁকানো আরাবুল প্রায় শ’পাঁচেক অনুগামীকে নিয়ে সাতুলিয়া মেন রোডে অবরোধও করেন। লাগোয়া এলাকায় কয়েকটি দোকানে, গাড়িতে ভাঙচুর এবং পথচলতি কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরাবুলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। হয়েছে বোমাবাজিও।

আরাবুল ইসলাম। —নিজস্ব চিত্র।

আরাবুল ইসলাম। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৪ ০২:০৪
Share: Save:

দুই সঙ্গী আটক হওয়ার ক্ষোভে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামকে থানার সদর দরজা ঝাঁকাতে দেখল জনতা। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানার গেট ঝাঁকানো আরাবুল প্রায় শ’পাঁচেক অনুগামীকে নিয়ে সাতুলিয়া মেন রোডে অবরোধও করেন। লাগোয়া এলাকায় কয়েকটি দোকানে, গাড়িতে ভাঙচুর এবং পথচলতি কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরাবুলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। হয়েছে বোমাবাজিও।

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ না মানলেও আরাবুল অনুগামীদের বিরুদ্ধে ওঠা ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি। বলেছেন, “আমার প্রচুর অনুগামী। তাদেরই মধ্যে কেউ-কেউ উত্তেজনার বশে হয়তো কিছু করে ফেলেছে। আমি খুব বকাবকি করেছি। ওদের ভুল হয়েছে।”

তবে ঘটনার পরে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ হয়নি থানায়। পুলিশ নিজে থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করায়, তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “তৃণমূলে আরাবুলের মতো নেতারা সব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছেন।” তবে জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সাতুলিয়া এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ সামাদ মোল্লা ও সামসুদ্দিন মোলা নামে আরাবুলের দুই ছায়াসঙ্গীকে আটক করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় তারা জানতে পারে, জমির দালালি নিয়ে বচসার জেরে ওই দু’জন সাতুলিয়ার এক জনকে খুন করার ছক কষেছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি পাইপগান এবং ৬ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সামাদ এবং সামসুদ্দিন আটক হয়েছেন খবর পেয়েই কাশীপুর থানার সদর দরজার বাইরে হাজির হন ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। তখন থানায় ছিলেন না ওসি সূর্যশেখর মণ্ডল। গেট ঝাঁকিয়ে ওসির নাম ধরে চিৎকার করতে শোনা যায় আরাবুলকে। সঙ্গে তাঁর ছেলে হাকিমুলও ছিলেন।

জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, সামাদ এবং সামসুদ্দিনকে অবশ্য কাশীপুর থানায় রাখা হয়নি। আটক করার পরেই তাঁদের বারুইপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়। আরাবুল-অনুগামীরা অবশ্য গ্রেফতারির খবর পাওয়ার আগেই অবরোধ, ভাঙচুর, বোমাবাজি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আরাবুল বলেছেন, “আমি শুধু আমার দুই সঙ্গীর খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। ওসি-কে পাইনি। থানার ভিতরেও ঢুকিনি। দলের নেতারা বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে ফোনে আশ্বাস দেন। তার পরেই থানা থেকে চলে এসেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal arabul islam
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE