বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য মোতায়েন পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
কাজ হারানোর আশঙ্কায় নৈহাটির হুকুমচাঁদ চটকলে বুনন বিভাগের শ্রমিকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখালেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চটকলের ভিতরে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রায় দু’ঘণ্টা চলে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চটকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন চটকলটির অন্য চারটি বিভাগে কাজ হয়েছে। কিন্তু বুনন বিভাগে কাজ ব্যাহত হয়। শিল্পাঞ্চলের অন্য চটকলগুলির মতো এখানেও আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। বেশ কিছু দিন ধরেই পুরনো মেশিন বাতিল করে নতুন মেশিন বসানো হচ্ছিল হুকুমচাঁদে। ইতিমধ্যে এখানকার অন্য বিভাগগুলিতে এই কাজ অনেকটা শেষ হয়ে এসেছে। শুধু বুনন বিভাগে নতুন মেশিন বসাতে গিয়েই বিপত্তি বাধে বলে মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। সম্প্রতি দিল্লিতে বস্ত্রমন্ত্রকে বৈঠক করে এসেছেন এই মিলের চিপ এক্সিকিউটিভ অফিসার সমীরকুমার চন্দ্র। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার উভয়েই চটকলের আধুনিকীকরণ চাইছে। সেই অনুযায়ী বিশেষ অনুদানেরও ব্যবস্থা রয়েছে।’’ মান্ধাতা আমলের যন্ত্রপাতি দিয়ে চটশিল্পের উন্নতি সম্ভব নয়। যা মেনে নিয়েছে শ্রমিকদের একটি বড় অংশ।
তা হলে কেন এই বিক্ষোভ?
বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের দাবি, নতুন মেশিনপত্র বসলে যন্ত্রনির্ভর উৎপাদন বাড়বে। এতে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা থাকবে। যদিও সমীরবাবুর আশ্বাস, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, একজন শ্রমিকও কাজ হারাবেন না। তারপরেও কেন এই বিক্ষোভ বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy