Advertisement
১৮ মে ২০২৪
অভিযুক্ত শিক্ষিকা

প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলার ‘অপরাধে’ শিশুকে মারধর

পাঁচ বছরের শিশুটির ‘অপরাধ’ সে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছিল। এমনকী দিদিমণি বলার পরেও প্যান্ট খুলে তা দিয়ে মুছে দেয়নি ঘরের মেঝে। অভিযোগ, এই ‘অপরাধেই’ শিশুটিকে স্টিলের রড দিয়ে বেধড়ক পেটালেন ওই গৃহশিক্ষিকা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৬ ০১:৫৭
Share: Save:

পাঁচ বছরের শিশুটির ‘অপরাধ’ সে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছিল। এমনকী দিদিমণি বলার পরেও প্যান্ট খুলে তা দিয়ে মুছে দেয়নি ঘরের মেঝে। অভিযোগ, এই ‘অপরাধেই’ শিশুটিকে স্টিলের রড দিয়ে বেধড়ক পেটালেন ওই গৃহশিক্ষিকা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে। এ নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই শিশুটির পরিবার।

পুলিশ সূত্রে খবর, বরাহনগরের অমৃত দাঁ লেনের বাসিন্দা লাল্টু দেবনাথের পাঁচ বছরের ছেলে অনিরুদ্ধ স্থানীয় নরেন্দ্রনাথ বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্র। প্রতিদিন সে বাড়ির কাছেই ওই গৃহশিক্ষিকার কাছে পড়তে যেত। শুক্রবারও বিকেল পাঁচটা নাগাদ পড়তে যায় অনিরুদ্ধ। পরিবারের লোকেদের ও পুলিশকে সে জানিয়েছে, সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পড়া শেষ হয়ে গেলে প্রস্রাব পায় তার। শিক্ষিকাকে সে কথা জানালে তিনি বলেন, ‘‘তোর মা এখনি নিতে আসবেন। বাড়ি গিয়ে বাথরুমে যাবি। এখন যেতে হবে না।’’ এর পরে সে প্যান্টেই প্রস্রাব করে ফেলে বলে জানায় শিশুটি।

অভিযোগ, বারণ করা সত্ত্বেও কেন সে প্যান্টে প্রস্রাব করেছে, তা নিয়ে রেগে যান বৈশাখী নামে ওই গৃহশিক্ষিকা। এর পরে পর্দা টাঙানোর একটি স্টিলের রড দিয়ে তিনি অনিরুদ্ধকে মারধর করেন। তাতে ওই শিশুর বাঁ হাত ও পায়ের বেশ কিছুটা অংশ ফুলে গিয়ে কালশিটে পরে যায়। শিশুটির মা শুক্লাদেবীর কথায়, ‘‘ছেলেকে আনতে গিয়ে দেখি ও রাস্তায় প্যান্ট হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করতেই সব বলে।’’ শুক্লাদেবীর জানান, এর পরে তিনি ওই শিক্ষিকার কাছে জানতে চান কেন এ ভাবে তাঁর ছেলেকে মারা হয়েছে? অনিরুদ্ধের মায়ের দাবি, বারণ করা সত্ত্বেও প্যান্টে প্রস্রাব করে মেঝে ভেজানোয় এবং মুছে দিতে বললেও তা না শোনায় অনিরুদ্ধকে তিনি মেরেছেন বলে জানিয়ে
দেন শিক্ষিকা।

রাতেই ওই শিশুকে তাঁর পরিবারের লোকেরা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। শিশুটির বাবা লাল্টুবাবু বলেন, ‘‘দুষ্টুমি করলে অন্য কথা ছিল। কিন্তু কোনও শিশু প্রস্রাব করে ফেলেছে বলে তাকে এ ভাবে কেউ মারতে পারেন, ভাবতেও পারি না।’’ ওই রাতেই বরাহনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লাল্টুবাবু। পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অন্য দিকে, বৈশাখীদেবীর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাঁর দিদি পরিচয়ে গোপা দাস নামে এক মহিলা জানান, ওই শিক্ষিকা বাড়িতে নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student Pant Lynch
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE