Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

পদার্থবিদ হতে চায় সার্থক, পবিত্র হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার

মেধাতালিকায় প্রথম সঞ্জীবনী দেবনাথের প্রাপ্ত নম্বর থেকে সে মাত্র ৬ নম্বর কম পেয়েছে।

সার্থক তালুকদার এবং পবিত্র সেনাপতি (বাঁ দিক থেকে)।

সার্থক তালুকদার এবং পবিত্র সেনাপতি (বাঁ দিক থেকে)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৮ ২২:৪৫
Share: Save:

ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার নন। নিজেকে এক জন পদার্থবিদ্যার গবেষক হিসেবেই দেখতে চায় মাধ্যমিকে সপ্তম স্থানাধিকারী সার্থক তালুকদার। মেধাতালিকায় প্রথম সঞ্জীবনী দেবনাথের প্রাপ্ত নম্বর থেকে সে মাত্র ৬ নম্বর কম পেয়েছে।

প্রতি বারের মতো এ বছরেও জেলার জয়জয়কার। মেধা তালিকায় কোনও রকমে ঠাঁই পেয়েছে কলকাতা। বরাহনগরের সার্থকের মতোই তিলোত্তমার মুখ উজ্জ্বল করেছে মানিকতলার পবিত্র সেনাপতিও। ৬৮০ নম্বর পেয়ে মেধা তালিকায় দশম হয়েছে টাকি বয়েজ গভর্নমেন্ট মাল্টিপারপাস স্কুলের এই ছাত্র। পবিত্রর লক্ষ্য অবশ্য কম্পিউটার সায়েন্স অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং।

তবে দু’জনেই খেলা পাগল। মাধ্যমিকের রেজাল্টের থেকেও রাশিয়া ফুটবল নিয়ে বেশি চিন্তিত সার্থক। সে মেসির ভক্ত। পবিত্র আবার ফুটবল নয়, ক্রিকেটের ভক্ত। বিরাট কোহালি তার প্রিয় খেলোয়াড়। সার্থকের কথায়, “খারাপ ফল হবে না জানতাম। কিন্তু বুধবার সকাল আমাকে এ ভাবে চমক দেবে ভাবতেও পারেনি।”

দেখুন ভিডিও:

সবাই যখন ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার হতে ছুটছে, তখন একটু অন্য পথে হেঁটে গবেষণাকে পেশা করতে চাইছে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হাইস্কুলের ছাত্র সার্থক। শিক্ষকেরা তো বটেই, তার এই সিদ্ধান্তকে সাহস জোগাচ্ছে বাবা-মাও। সার্থকের কথায়, “ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি পড়তে গেলেও পদার্থবিজ্ঞান-রসায়নবিদ্যার সাহায্য নিতে হয়। এই ধরনের বিষয়গুলি কম গুরুত্বের কিছু নয়। পদার্থবিজ্ঞান আমাকে ছোটবেলা থেকেই আকর্ষণ করে।”

আরও পড়ুন: খাওয়া জোটে না বহু দিনই, এই ছেলে মাধ্যমিকে অষ্টম

মাধ্যমিকের ফল কী হবে, এ সবের চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে ছুটিতে মেতেছিল সার্থক। বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাফেরা। তার পর ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা তো রয়েইছে। এরই ফাঁকে পদার্থবিদ্যার বইও উল্টেপাল্টে দেখা হয়ে গিয়েছে।

একই সুর শোনা গেল পবিত্রের গলাতেও। মাকে সঙ্গে নিয়ে স্কুলে রেজাল্ট নিতে এসেছিল এ দিন। তাকে দেখতে পেয়েই বন্ধুরা জড়িয়ে ধরে আনন্দে দিশাহারা। পবিত্রের সাফল্যে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পরেশকুমার নন্দী বলেন, “প্রতি বছরই আমাদের স্কুলের ভাল রেজাল্ট হয়। এ বছর পবিত্র স্কুলের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমরা গর্বিত।”

পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন এই কৃতী ছাত্রের বাবা দুলাল সেনাপতি। তিনি বলেন, “সংবাদবাধ্যম থেকেই প্রথমে বিষয়টি জানতে পারি। ভাবতেই পারছি না ও মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। ক্রিকেটপাগল ছেলে। সাহিত্য নিয়েও চর্চা করে। পড়াশোনা নিয়ে আমার কোনও দিনই চাপ দিইনি। ভবিষ্যতেও দেব না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Madhyamik examination
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE