Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

মামলা করে ১৫ বছর পরে পেনশন আদায়

এক্রামুল জানান, পেনশন ও বকেয়া না-পেয়ে ২০০৬-এ মামলা করেন ওই শিক্ষক। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ‘প্রভিশনাল পেনশন’ দিতে হবে। ওই পেনশন পেলেও শিক্ষক বাকি বকেয়া ও পুরো পেনশন পাননি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২২
Share: Save:

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এক শিক্ষক যে-‘প্রভিশনাল পেনশন’ পাচ্ছিলেন, পরে তা-ও বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে, অবসরের ১৫ বছর পরে হাইকোর্টেরই নির্দেশে অবসরকালীন বকেয়া এবং পুরো পেনশন পাচ্ছেন তিনি। বুধবার বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে ওই শিক্ষকের সব বকেয়া ১০ শতাংশ সুদ-সহ মিটিয়ে দিতে হবে।

অম্বিকা প্রসাদ নামে ওই শিক্ষক কাঁচরাপাড়ার শ্রী মানধারী হাইস্কুলে ইংরেজি পড়াতেন। তাঁর আইনজীবী এক্রামুল বারি বৃহস্পতিবার জানান, ১৯৬৮ সালে তাঁর মক্কেল ওই স্কুলে যোগ দেন। ১৯৮৯-এ ইংরেজিতে এমএ পাশ করেন তিনি। জেলা স্কুল পরিদর্শক সেই বছরেই ওই শিক্ষককে উচ্চ হারে বেতন দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেন। ২০০৪ সালে জেলা স্কুল পরিদর্শক স্কুল-কর্তৃপক্ষের কাছে অম্বিকাবাবুর ‘সার্ভিস রেকর্ড’ ও উচ্চ হারে বেতনের অনুমোদন সংক্রান্ত নথি চান। কিন্তু স্কুল-কর্তৃপক্ষ সেই সময় ওই অনুমোদনের নথি পেশ করতে পারেননি। ফলে অবসরের পরে পেনশন-সহ অবসরকালীন পাওনা থেকে বঞ্চিত হন ওই শিক্ষক।

এক্রামুল জানান, পেনশন ও বকেয়া না-পেয়ে ২০০৬-এ মামলা করেন ওই শিক্ষক। হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ‘প্রভিশনাল পেনশন’ দিতে হবে। ওই পেনশন পেলেও শিক্ষক বাকি বকেয়া ও পুরো পেনশন পাননি। জুলাইয়ে প্রভিশনাল পেনশনও বন্ধ হয়ে যায়। আইনজীবী জানান, বিচারপতি মামলার শুনানিতে বর্তমান জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জানতে চান, ওই শিক্ষকের বকেয়া মেটানো হচ্ছে না কেন? পরিদর্শক জানান, অম্বিকাবাবু এমএ পরীক্ষা দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি। বিচারপতি জানান, শিক্ষককে উচ্চ হারে বেতন দেওয়ার অনুমোদন ছিল এবং অবসরের সময়েও তিনি সেই হারে বেতন পেয়েছেন। তাই পরিদর্শকের যুক্তি টিকবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Calcutta HIgh Court Pension Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE