Advertisement
০৪ মে ২০২৪

রাজ্যের কোর্টে বল কৈলাসের

শুক্রবার বাগডোগরাতে বিজয়বর্গীয়ের এই মন্তব্যের পরে কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা, বিজেপি মোর্চার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে। বিজয়বর্গীয় এ দিন মোর্চার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে এই ধারণা আরও শক্তিশালী হয়েছে।

অভ্যর্থনা: ইসলামপুরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ছবি: অভিজিৎ পাল

অভ্যর্থনা: ইসলামপুরে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ছবি: অভিজিৎ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৭ ০২:৩৮
Share: Save:

পাহাড়ে পরিস্থিতির জন্য বিজেপি কোনও ভাবেই দায়ী নয় বলে জানিয়ে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সমস্যা নিরসনের দায়ও তিনি ঠেলে দিলেন রাজ্যের কোর্টে। তিনি জানান, জিটিএ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক ৈবঠক ডাকা হবে কি না, সে সিদ্ধান্তও কেন্দ্রীয় সরকার নেবে রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরে।

শুক্রবার বাগডোগরাতে বিজয়বর্গীয়ের এই মন্তব্যের পরে কিছু রাজনৈতিক দলের ধারণা, বিজেপি মোর্চার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে। বিজয়বর্গীয় এ দিন মোর্চার সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে এই ধারণা আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘মোর্চা বিজেপির বন্ধু দলের বেশি কিছু নয়।’’ যার পরে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অশোক ভট্টাচার্যর মত, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্র দু’পক্ষই ভোটের জন্য মোর্চাকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলতে চাইছে।’’ কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকারও দাবি করেছিলেন, ‘‘বিজয়বর্গীয়রাই পাহাড়ে পিছন থেকে আগুন জ্বালাচ্ছেন। এখন বিপাকে পড়ে দূরে যেতে চাইছেন।’’

সম্প্রতি পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমল গুরুঙ্গ চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছিলেন মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকতেও কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছিল মোর্চা। কিন্তু দলের দার্জিলিং জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিজয়বর্গীয় ইঙ্গিত দেন, পাহাড়ে আপাতত কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নেই। দলের নেতাদের তিনি জানিয়ে দেন, পাহাড়ের বিষয়টি তৃণমূল এবং মোর্চার বিষয়, তা নিয়ে বিজেপির কিছু করার নেই।

বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘জিটিএ-এর চুক্তি-সহ নানা বিষয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কেন্দ্র। রাজ্যের সেই রিপোর্ট দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।’’ মোর্চার পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়েও রাজ্য সরকারের মতামত শুনে পদক্ষেপ হবে বলে দাবি তাঁর।

তবে মোর্চার এক নেতার অবশ্য মন্তব্য, ‘‘কে কী বলছেন জানি না। আমাদের নেতারা সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন।’’ বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যকে অবশ্য বিজেপির ‘চালাকি’র রাজনীতি বলে অভিযোগ করেছেন অশোকবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মোর্চা ভেবে দেখুক কেন্দ্রের বিজেপির সরকার জিটিএকে কী দিয়েছে?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE