অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণে পুলিশ। রবিবার, মধ্যমগ্রামে। নিজস্ব চিত্র
মধ্যমগ্রামের নিহত তৃণমূল নেতা সুধীর দাসকে খুনের ঘটনায় ধৃত সুরজিৎ পাত্রকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে থাকা সুরজিৎকে নিয়ে রবিবার দুপুরে তদন্তকারীরা গিয়েছিলেন ঘটনাস্থল দিগবেড়িয়ায়। সেখানেই সুরজিৎ কী ভাবে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে সুধীরবাবুকে খুন করেছিল, তা অভিনয় করে দেখায় মধ্যমগ্রাম থানার আইসি তমাল দাসের সামনে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন অভিযুক্তের চোখে-মুখে অনুতাপের লেশমাত্র ছিল না। সুরজিৎ পুলিশকে জানিয়েছে, খুনের পরে দেহটি সে টানতে টানতে সেপটিক ট্যাঙ্কের কাছে নিয়ে যায়। এর পরে দেহটি ঢুকিয়ে মুখে সিমেন্টের আস্তরণ দিয়ে দেয়। তবে যে রড দিয়ে সুধীরবাবুকে খুন করা হয়েছে, সেটি এখনও উদ্ধার হয়নি।
কেন খুন করা হয়েছিল সুধীরবাবুকে? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, গত ২৮ জুলাই দিগবেড়িয়ার একটি কারখানায় নির্মাণ সামগ্রী চুরি করতে এসেছিল সুরজিৎ। তা দেখে ফেলেন সেখানকার নিরাপত্তারক্ষী সুধীরবাবু। ওই কারখানাতেই আগে কাজ করার সুবাদে সুরজিৎ তাঁকে চিনত। তাই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সে সুধীরবাবুকে খুন করে।
মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় সভাপতি সুধীরবাবু ডিউটি করতেন কারখানার মূল গেটে। রোজকার মতো ওই দিনও তিনি সাইকেলে কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। দুপুরে সুধীরবাবুর বাড়িতে খেতে আসার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও না ফেরায় খুঁজতে বেরোন বা়ড়ির লোক। বিভিন্ন এলাকায় খুঁজেও সন্ধান না মেলায় পরিবারের তরফে থানায় জানানো হয়। পরের দিন ভোরে কারখানার কয়েক জন কর্মীর নজরে আসে নির্মীয়মাণ কারখানার সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখ সিমেন্ট দিয়ে আটকানো। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে সিমেন্টের আস্তরণটি ভেঙে ফেলে। উদ্ধার হয় সুধীরবাবুর রক্তাক্ত দেহ।
পুলিশ জানিয়েছে, এর আগে আর একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল সুরজিৎ। সেই মামলা এখনও চলছে। জেরায় অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, মামলার খরচের টাকা তুলতেই সে সুধীরবাবুকে খুন করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy