Advertisement
E-Paper

সাসপেন্ড হতে পারেন অভিযুক্ত পুলিশকর্তা

লালবাজারের খবর, কনস্টেবলদের আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ বার ওই ডিসি-কেও সাসপেন্ড করা হতে পারে। যদিও লালবাজারের একাংশের দাবি, স্বাধীনবাবুর অবসরের সময় হয়ে এসেছে। সে ক্ষেত্রে সাসপেন্ড করা হলে তাঁর অবসরকালীন যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা স্থগিত হয়ে যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২১

কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার মামলায় অভিযোগকারীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য শিয়ালদহ আদালতে আর্জি জানিয়েছে পুলিশ। তবে সেই আর্জি মঞ্জুর হয়েছে কি না, রবিবার রাত পর্যন্ত তা জানাতে চাননি তদন্তকারীরা। এই মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম উঠেছে স্বাধীন সাহা নামে কলকাতা পুলিশেরই স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের এক ডেপুটি কমিশনার এবং কয়েক জন কনস্টেবলের।

লালবাজারের খবর, কনস্টেবলদের আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ বার ওই ডিসি-কেও সাসপেন্ড করা হতে পারে। যদিও লালবাজারের একাংশের দাবি, স্বাধীনবাবুর অবসরের সময় হয়ে এসেছে। সে ক্ষেত্রে সাসপেন্ড করা হলে তাঁর অবসরকালীন যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা স্থগিত হয়ে যাবে। ওই ডিসির বিরুদ্ধে আগে থেকেই বিভাগীয় তদন্ত চলছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, স্বাধীনবাবুর বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁর গ্রামেরই বাসিন্দা রামচন্দ্র বিশ্বাসের অভিযোগ, তাঁর ছেলে মধুসূদন এবং গ্রামের আরও দুই যুবকের কাছ থেকে কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় সাড়ে ২১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন স্বাধীনবাবু। কিন্তু চাকরি দেননি। উল্টে টাকা ফেরত চাইলে স্বাধীনবাবু মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। রামচন্দ্র আলিপুর আদালতে অভিযোগ জানালে বিচারকের নির্দেশে মানিকতলা থানায় মামলা রুজু হয়। কারণ, টাকার লেনদেন মানিকতলা থানা এলাকায় সশস্ত্র পুলিশের দফতরে হয়েছিল বলে রামচন্দ্রের অভিযোগ।

শনিবারই মানিকতলা থানায় রুজু হওয়া মামলার ব্যাপারে স্বাধীনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বিভাগীয় তদন্ত চলছে তা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘মামলা রুজু হওয়ার ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক অফিসারকে এই মামলার তদন্তকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি স্বাধীনবাবুকে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাঁকে অনুমতি নিতে হবে। এর পাশাপাশি যে দফতরে বসে টাকার লেনদেন হয়েছিল, তার কোনও সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে এই লেনদেন হয়েছিল প্রায় দু’বছর আগে। অত পুরনো ফুটেজ সত্যিই রয়েছে কি না, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে।

Kolkata Police Suspension Employment Forgery Sealdah Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy