মুর্শিদাবাদে সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলন ঘিরে হিংসা এবং মৃত্যুর ঘটনা খতিয়ে দেখতে পাঠানো হচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল। গত শুক্রবারের হিংসাপর্বের সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছে, কমিশনের প্রতিনিধিরা সে বিষয়েও অনুসন্ধান করবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এই সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিনিধি দল চলে আসতে পারে।
"প্রকাশ কলিঙ্গ রাইটস্ ফোরাম " নামে ওড়িশার একটি মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে কমিশনের প্রতিনিধি দল আসছে মুর্শিদাবাদে। কমিশনের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (আইন) ব্রিজবীর সিংহ মঙ্গলবার সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল (তদন্ত)-কে চিঠি লিখে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘কমিশনের সদস্য প্রিয়ঙ্ক কানুনগোর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৯৯৩ সালের মানবাধিকার সুরক্ষা আইন (দ্য প্রোটেকশন অব হিউম্যান রাইটস অ্যাক্ট)-এর ১২ নম্বর ধারা অনুসরণ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত হবে।’’ দু’জনের খুন-সহ মোট তিন জনের মৃত্যু, বাড়িঘর, দোকান ও যানবাহনে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ এবং হিংসার কারণে অনেকের ঘরছাড়া হওয়ার ঘটনা রয়েছে এই তালিকায়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল (তদন্ত)-কে বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত মেনে মুর্শিদাবাদে পাঠানোর জন্য দ্রুত প্রতিনিধি দল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে জানিয়েছেন ব্রিজবীর। কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রতিনিধি দল মুর্শিদাবাদ জেলার সংশ্লিষ্ট এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ নথিভুক্ত করবে। সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতি এলাকায় শুক্রবারের হিংসার পরে ক্ষতিগ্রস্তদের একাংশ গঙ্গা পেরিয়ে মালদহের কালিয়াচক-৩ এবং বৈষ্ণবনগরে অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা যেতে পারেন বলে সূত্রের খবর।