বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডে বারবারই নাম উঠে এসেছে বীরভূমের। সেই সূত্রেই ফের বীরভূমে এল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। রবিবার নানুর থানায় আসেন এনআইএ-র এক প্রতিনিধি। সেখানে ডেকে পাঠানো হয় কীর্ণাহারের কাজি মার্কেটের দুই ব্যবসায়ী শুকুর শেখ ও হিপজুল্লা কাজিকে। এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে দু’জনকে আলাদা ভাবে জেরা করা হয়।
প্রসঙ্গত, নানুর থানায় এসে কীর্ণাহারের কয়েক জন বাসিন্দাকে এর আগেও একাধিক বার জেরা করেছে কেন্দ্রীয় ওই গোয়েন্দারা। বর্ধমান বিস্ফোরণ-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কওসরের শ্যালক, কীর্ণাহারের নিমড়া গ্রামের বাসিন্দা কদর গাজির বাড়িতে প্রথম হানা দিয়েছিল রাজ্য পুলিশের এসআইবি-র একটি দল। একই দিনে তারা শুকুর শেখের বাড়িতেও যায়। শুকুরের বাড়িতে তল্লাশিও হয়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, শুকুর শেখের ছেলে আমজাদ ওরফে কাজলের সঙ্গে কদরের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। শনিবার রাতে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের দল দিল্লি থেকে আমজাদ আলি শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বর্ধমানে বিস্ফোরক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। খাগড়াগড় কাণ্ডের পর থেকেই ফেরার ছিল আমজাদ। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। এসটিএফ জেনেছে, এই আমজাদের বাড়িও বীরভূমে। এই আমজাদ, শুকুরের ছেলে আমজাই কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিমড়া গ্রামেরই বাসিন্দা হিপজুল্লা কাজিকে আগেও জেরা করে এনআইএ। তাঁর ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়। হিপজুল্লার দোকান শুকুর শেখের দোকানের ঠিক পাশেই। এ দিনও তাঁকে জেরা করে এনআইএ।
রবিবার দুপুরে এনআইএ-র তিন সদস্যের একটি দল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানায় যায়। তারা বড়ুয়া পাওয়ার হাউস পাড়ার বাড়িটি (খাগড়াগড় বিস্ফোরণে হত শাকিল আহমেদ এই বাড়িতে ভাড়া থাকত) সিল করে দেয়। সেই সঙ্গে বড়ুয়া বাজারের শাকিলের বোরখা ঘর, ফারাজি পাড়ার বোরখা কারখানা ও বেলডাঙা হাটপাড়ার একটি বাড়িও (হাতকাটা নাসিরুল্লা-সহ শাকিলের বেশ কয়েক জন সঙ্গী এই বাড়িতে ভাড়া থাকত) সিল করে দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওই গোয়েন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy