মহাত্মা গান্ধী গ্রামীণ রোজগার নিশ্চয়তা আইন থেকে মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর নাম মুছে ‘বিকশিত ভারত গ্রামীণ রোজগার ও অজীবিকা মিশন গ্যারান্টি’ (ভিবি-জি রাম-জি) বিল এনেছিল কেন্দ্র। রাষ্ট্রপতি ইতিমধ্যেই বিলে সম্মতি দিয়েছেন। এই আইন বাতিল ও একশো দিনের কাজ দ্রুত চালু করার দাবিতে মঙ্গলবার এনআরইজিএ সংঘর্ষ মোর্চার ডাকে লোকভবন (রাজভবনের বর্তমান নাম) অভিযান করলেন খেতমজুর ও চাষিরা। সমর্থনে পথে নেমেছিল সংযুক্ত কিসান মোর্চাও। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিএম, সিপিআই, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক-সহ বিভিন্ন বাম দলের নেতা-কর্মীরা। প্রতিবাদ হয়েছে বিভিন্ন জেলাতেও।
শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল করে আন্দোলনকারীরা এ দিন লোকভবনে পৌঁছন। কিসান মোর্চার তরফে অমল হালদার, কার্তিক পালেরা ফসল কাটার সময় ৬০ দিন কাজ বন্ধ না-রাখা, ন্যূনতম ৬০০ টাকা মজুরি, ২০০ দিন কাজ নিশ্চিত করার মতো বিভিন্ন দাবি তুলেছেন। তাঁদের মতে, নতুন আইনে সরকার যখন যেখানে যত মজুরিতে কাজ করতে বলবে, তা-ই মানতে বাধ্য হবেন খেতমজুরেরা। নতুন আইনে রাজ্যগুলির উপরেও বাড়তি আর্থিক বোঝা চাপতে পারে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে প্রকল্পের কাজ শুরু করতে আরও টালবাহানা করতে পারে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, প্রকল্পে গান্ধীর নাম না-থাকা, পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া টাকা আটকে রাখা, কেন্দ্রের ‘চক্রান্তের’র প্রতিবাদে এবং রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রকল্পে টাকার হিসাব নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিতে প্রদেশ কংগ্রেস আজ ‘লোকভবন চলো’র ডাক দিয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেছেন, “নাম-বদল গান্ধীর নাম ও আদর্শকে কলঙ্কিত করার শামিল। আর কেন্দ্র ও রাজ্য বলুক, পশ্চিমবঙ্গের জন্য অতিরিক্ত তহবিল বরাদ্দ ও নতুন জব কার্ড দেওয়া কেন আটকানো হয়েছে?” বিজেপির নেতা তাপস রায়ের বক্তব্য, “প্রাসঙ্গিকতাহীন কয়েকটি দলের লোকজন ভেসে থাকতে চাইছেন। আর ১০০ দিনের কাজকে ১২৫ দিন করা, এটা কেন্দ্রীয় সরকারেরই ভাবনা।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)