বাধা বেহাল নিকাশি। সিঙ্গুরে টাটাদের প্রকল্প এলাকা থেকে বৃষ্টির জমা জল এখনও নামেনি। এর জেরে পদে পদে কাজ করতে বাধা পাচ্ছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কৃষি দফতরের কর্মীরা। চেয়েও গামবুট পাননি অনেকে। কাজের গতি শ্লথ হচ্ছে। তার মধ্যে আবার দ্রুত কাজ শেষের জন্য হুগলির জেলাশাসকের বিরুদ্ধে হম্বিতম্বির অভিযোগ তুলে তাঁরা নবান্নে দফতরের শীর্ষ কর্তাদের দ্বারস্থ হয়েছেন।
জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, প্রশাসনের একটি অংশের দাবি, কিছু গামবুট দেওয়া হলেও তা সংখ্যায় অপ্রতুল। আর কর্মীদের ক্ষোভ সেই কারণেই। মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার অবশ্য বলেন, “প্রতিকূল পরিবেশে কিছু সমস্যা হতেই পারে। তবে ওখানে কাজ ভাল ভাবেই চলছে। কাজের জন্য বকাঝকা হতেই পারে। সংসারেও তো হয়।”
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ১২ সপ্তাহের মধ্যে সিঙ্গুরের অধিগৃহীত জমি চাষিদের ফিরিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তাই সেখানে কাজের গতি নিয়ে ঘুম ছুটেছে প্রশাসনের কর্তাদের। তাঁদের একাংশের আশঙ্কা, যে গতিতে কাজ হচ্ছে তাতে আদালত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে না। এর পরে যদি আদালতের কাছে সময় চাইতে হয়, তাতে রাজ্যের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কানেও পৌঁছেছে। তিনি অবশ্য বলেন, “ওখানে যা পরিস্থিতি, তাতে গামবুট ছাড়া কর্মীদের কাজ করা সম্ভব নয়।
তাই দ্রুত পর্যাপ্ত গামবুট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।”
গোটা প্রকল্প এলাকা থেকে মানুস-সমান ঘাস এবং আগাছা পরিষ্কার করতে নাজেহাল হচ্ছেন কর্মীরা। তার উপরে বর্ষার জমা জল সমস্যা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাজের সুবিধার জন্য গামবুট চেয়েছিলেন কর্মীরা। কিন্তু সবাই তা পাননি। কাজে গতি কমে যাওয়ায় অন্য জেলা থেকে জমি মাপার কাজে আসা ভূমি দফতরের বেশ কিছু কর্মীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, অফিসাররা গামবুট পেয়েছেন। কিন্তু যাঁরা মাঠে নেমে জঙ্গল সাফাইয়ের কাজ করছেন তাঁরা পাননি। খালি পায়ে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এক কর্মীর কথায়, ‘‘অফিসারেরা আমাদের নিরাপত্তার কথা একবারও ভাবছেন না। অযথা খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy