Advertisement
E-Paper

বন্দরের উন্নয়নে কেন্দ্র-রাজ্য জোট

গত পাঁচ বছরে এই প্রথম বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমন বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মুখে বরাবরই বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার কথা শোনা যেত। সেই অবস্থান বদলে খুশি বন্দর কর্তৃপক্ষও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২৮

নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তাঁর সমস্যা নেই, সমস্যা বিজেপির রাজনীতি নিয়ে। কেন্দ্র-রাজ্য সরকারের কাজে সমন্বয় নিয়েও দ্বিধা নেই তাঁর। সম্প্রতি এমনই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু এমন মন্তব্য করেই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি, এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম বড় সংস্থা কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠিয়ে বুধবার নবান্নে দীর্ঘ বৈঠকও করেছেন তিনি। বার্তা দিয়েছেন, কলকাতা তথা রাজ্যের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার।

গত পাঁচ বছরে এই প্রথম বন্দর চেয়ারম্যানের সঙ্গে এমন বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মুখে বরাবরই বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার কথা শোনা যেত। সেই অবস্থান বদলে খুশি বন্দর কর্তৃপক্ষও। বন্দরের চেয়ারম্যান এম টি কৃষ্ণবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘খুবই ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বন্দর তথা রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সে ভাবে পদক্ষেপ করা হবে।’’

বন্দর সূত্রের খবর, তাজপুর বন্দরের অগ্রগতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। কৃষ্ণবাবু তাঁকে জানান, টেকনো ইকনমিক ফিজিবিলিটি রিপোর্ট তৈরির জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগ করা হচ্ছে। এর পরেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে চুক্তি করা হবে। তার পরেই শুরু হবে বন্দর নির্মাণের কাজ। মুখ্যমন্ত্রী হলদিয়া বন্দরের ড্রেজিং নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। বন্দর জানিয়েছে, ড্রেজিং হচ্ছে। কিন্তু পলি তুলে ফেলতে হচ্ছে নদীতেই। তার বদলে যদি নয়াচরের একটি অংশে পলি ফেলা যায় তা হলে সমস্যা মিটতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্যা মেটাতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ছাড়া হলদিয়া বন্দর থেকে ভোজ্য তেল রেল পথে পরিবহণ করতে দেয় না সেখানকার ট্যাঙ্কার মালিকরা। এ নিয়ে বন্দর কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর সামনে অভিযোগ করেন। বন্দেরর যুক্তি, রেলপথে ‌না যাওয়ায় ভোজ্য তেল পরিবহণের খরচ প্রতি টনে ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা বাড়তি খরচ
হয়। এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন ৭৫০ কিমি পর্যন্ত ট্যাঙ্কারে ভোজ্য তেল নিয়ে যাওয়া যাবে। দূরত্ব বাড়লে রেল পথেই যাবে ভোজ্য তেল। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

রাজ্যের তরফেও বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। গঙ্গার দু’পারে ভাঙা বাড়ি ভেঙে নতুন আবাসন তৈরি, বন্দরের জমিতে গুদাম ঘর তৈরি, চারটি জেটি তৈরিতে বন্দরের ছাড়পত্র চেয়েছে রাজ্য। বন্দরের পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Development Port Central Government State Government Kolkata Port Trust Mamata Banerjee Narendra Modi মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদী
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy