Advertisement
১৬ মে ২০২৪

ডেকেও শিক্ষক নিয়োগ কমিটি থেকে ছাঁটাই, ক্ষুব্ধ অমিত্রসূদন

উপাচার্যের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তাঁকে বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রাখা হয়েছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাছাইয়ের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য শান্তিনিকেতন থেকে বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছেও গিয়েছিলেন রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৮
Share: Save:

উপাচার্যের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তাঁকে বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রাখা হয়েছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাছাইয়ের ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য শান্তিনিকেতন থেকে বৃহস্পতিবার নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছেও গিয়েছিলেন রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ অমিত্রসূদন ভট্টাচার্য। কিন্তু ইন্টারভিউ শুরুর মুখে তিনি জানতে পারলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

শেষ বেলায় এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে স্তম্ভিত হয়ে যান প্রবীণ রবীন্দ্র-অধ্যাপক অমিত্রসূদনবাবু। পরে তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি আহত, অপমানিত। পরবর্তী প্রজন্ম এঁদের থেকে কী শিখবে, জানি না।’’ খোদ উপাচার্য যাঁকে বিশেষজ্ঞ কমিটিতে মনোনীত করেছিলেন, কে বা কারা তাঁকে কী ভাবে ছেঁটে দিলেন, সেই প্রশ্ন তুলে বিস্ময় প্রকাশ করেছে শিক্ষা শিবিরের একাংশও।

রহস্যটা কী? সরাসরি জবাব দেওয়ার কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, এ দিন বাংলা বিভাগের চারটি শিক্ষক-পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ শুরু হয়েছে। এই সাক্ষাৎপর্ব চলবে দু’দিন ধরে। যে-বিশেষজ্ঞ কমিটি ইন্টারভিউ নিচ্ছে, তাতে আছেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর, গুয়াহাটি ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আর অমিত্রসূদনবাবুর জায়গায় কমিটিতে নেওয়া হয়েছে অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বেলা দাসকে। মর্মাহত অমিত্রসূদনবাবু জানান, উপাচার্যের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিশেষজ্ঞ কমিটিতে থাকার জন্য তাঁকে পুজোর আগে অনুরোধ করা হয়েছিল। তিনি রাজি হন। ঠিক ছিল, পুজোর ঠিক পরেই ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। পরে দিন পাল্টে করা হয় ১০ নভেম্বর। সেই অনুযায়ী তিনি এ দিন শান্তিনিকেতন থেকে চলে আসেন। বেলা ১১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে নির্দিষ্ট ভাতা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে রেলের টিকিটটিও জমা দিয়ে দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কক্ষে ইন্টারভিউ শুরু হওয়ার মুখে এক শিক্ষাকর্মী এসে অমিত্রসূদনবাবুকে জানান, তাঁকে এখনই এক বার উপাচার্য আশুতোষ ঘোষের ঘরে যেতে হবে। সেখানে গেলে উপাচার্য তাঁকে জানান, আগে জানানো হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে এই ইন্টারভিউ বোর্ডে রাখা হয়নি। অনুরোধ করে বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রেখেও প্রবীণ অধ্যাপককে শেষ মুহূর্তে এ ভাবে বাদ দেওয়া হল কেন?

‘‘পুরো বিষয়টির জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু কয়েক দিন আগেই ওঁকে ই-মেলে জানানো হয়েছিল, ইন্টারভিউয়ের জন্য কবে আসতে হবে, সেটা ওঁকে পরে জানানো হবে,’’ বলেন উপাচার্য। অমিত্রসূদনবাবু অবশ্য জানান, তিনি ওই ই-মেল পাননি। ক্ষুব্ধ অধ্যাপক বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তো দেখলাম, নিয়মমাফিক ইন্টারভিউ চলছে। তা হলে কোন কারণে আমায় বাদ দেওয়া হল? এই ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এমন প্রার্থীদের হয়তো বাছা হবে, যাকে আমি হয়তো আদৌ যোগ্য বলে মনে করতাম না। তাই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে তাঁকে হঠাৎ ছেঁটে ফেলার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে অমিত্রসূদনবাবু যা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরের গুঞ্জন তার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে অনেকাংশেই। সেই গুঞ্জনের সার কথা, ওই সব পদের জন্য কয়েক জন প্রার্থীর নাম আগে থেকেই নির্দিষ্ট হয়ে আছে। এবং তা নিয়ে জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। শিক্ষামহলের একাংশের বক্তব্য, অমিত্রসূদনবাবুকে বিশেষজ্ঞ কমিটি থেকে বাদ দেওয়ায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে গেল।

এক নজরে বাগানের সংখ্যা

পাহাড় ৭৮ তরাই ৪৬ ডুয়ার্স ১৫৩

স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন প্রায় এক লক্ষ বিরাশি হাজার।

অস্থায়ী শ্রমিক প্রায় আড়াই লক্ষ।

এদের ওপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ।

এরপর রয়েছে অসংখ্য ছোট বাগান , সেখানে লক্ষাধিক মানুষ জড়িত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE