৬০ বছর পেরিয়ে এসে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তা-ই নিয়ে সর্বত্র হইচই। নানা মত, নানা মন্তব্য। তবে দিলীপের নিজের দল তো বটেই, বিরোধীদের সিংহভাগ নেতাও নতুন জীবনের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তেমনই দু’জন অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডল এবং মদন মিত্র। রাজনীতির ময়দানে তাঁদের দু’জনের সঙ্গে দিলীপের ‘যুদ্ধ’ থাকলেও বিজেপি নেতার সংসারী হওয়ার সিদ্ধান্তে মদন-অনুব্রত খুশি। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত জানালেন, বিয়ের নিমন্ত্রণ পেলে তিনি আসতেনই কলকাতায়। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কালারফুল বয়’ মদন জানালেন, বিয়েতে যাওয়ার জন্য তৈরি।
শুক্রবার নিউটাউনের ফ্ল্যাটে বসেছে দিলীপের বিয়ের আসর। রীতি-আচার মেনে সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ছাঁদনাতলায় বিজেপি নেতা। পাত্রী রিঙ্কু মজুমদারও সেজেগুজে তৈরি। বীরভূম থেকে অনুব্রতের মন্তব্য, ‘‘দিলীপদা খুব ভাল লোক। উনি নিমন্ত্রণ করলে আমি যেতাম।’’ দুবরাজপুরে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন শেষে নতুন জীবনের জন্য দিলীপ এবং তাঁর হবু স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেষ্ট। অন্য দিকে, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মদনের সরস মন্তব্য, ‘‘সঙ্গ থেকে সংসার। দুটোর আগে ‘সং’ আছে। আমি বলি, বেশি সংযমী হলে সং নয়তো যমের শিকার হয়ে যেতে হবে।’’ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের সংযোজন, ‘‘আমি খুব খুশি। আমি বিয়েবাড়ি যাব বলে প্রস্তুত।’’ তার পর মদন সুর করে ছড়া কাটলেন, ‘‘চাঁদ উঠেছে, ফুল ফুটেছে, কদমতলায় কে? বাড়িতে আছে হুলো বেড়াল, কোমর বেঁধেছে।’’
বিয়ের ঠিক আগে দিলীপ জানান, রাজনীতির বাইরে সামাজিক এবং পারিবারিক দায়িত্ব পালনেরও প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগে যেহেতু আরএসএসের প্রচারক ছিলাম, বিয়ে করার প্রশ্ন ছিল না। তার পর বিধায়ক, সাংসদ হয়েছি। সঙ্ঘের তরফ থেকে আমাকে প্রচারকের জীবন থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আমার মায়ের কেউ নেই। দেখাশোনার জন্য কেউ নেই। তাই মায়ের কথাতেই বিয়েতে রাজি হলাম।’’