কলকাতা পুলিশ কয়েক বছর আগেই এর ব্যবহার শুরু করেছে। এ বার ‘ব্যাকপ্যাক ইউনিট’-এর মাধ্যমে রাজ্য পুলিশের কর্তারা অফিসে বসে ঘটনাস্থলের ছবি সরাসরি দেখতে চাইছেন। সে জন্য রাজ্য পুলিশের তরফে ২০টি ‘ব্যাকপ্যাক ইউনিট’ কেনা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ওই কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। আগামী সপ্তাহে ওই নিয়ে বৈঠকে বসারকথা রয়েছে।
রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানান, জেলায় কোনও আইন শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা তৈরি হলে সেখানে বর্তমানে পুলিশের ক্যামেরাম্যান উপস্থিত থাকেন। এবার তাঁদের সঙ্গেই থাকবে ওই ‘ব্যাকপ্যাক’ ইউনিট যার মাধ্যমে থেকে দূরে বসে আধিকারিকেরা দেখতে পারবেন ঘটনাস্থলের টাটকা ছবি। কলকাতা পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগের হাতে ওই ‘ব্যাকপ্যাক’ থাকলেও রাজ্য পুলিশের সব জেলার হাতে তা ছিল না। এবার সেই খামতি দূর করার চেষ্টা শুরু হল বলে তিনি জানান।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা নিজেদের অফিসে বসে ঘটনাস্থলে ঠিক কী ঘটছে তা যেমন দেখতে পারবেন, তেমন ভাবেই মোতায়েন হওয়া পুলিশকর্মীদের অবস্থান কী বা তাঁরা ঘটনাস্থলে কী করছেন সবটাই তাঁদের নজরে থাকবে। এর সঙ্গেই উত্তেজিত জনতা বা রাজনৈতিক কর্মীরা কী করছেন, কোথায় জড়ো হয়েছেন সব কিছুই সরাসরি দেখা যাবে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বর্তমানে ভাড়ায় কোনও কোনও জায়গায় ব্যাকপ্যাক ব্যবহার করা হলেও স্থায়ী ভাবে ওই ব্যাকপ্যাক হাতে এলে, শীর্ষকর্তারা অফিসে বসেই পরিস্থিতি অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠাতে পারবেন বাহিনীকে। এমনকি বাহিনীর কোনও ভুলচুক হলে সেটিও সরাসরি ঠিক করবার নির্দেশ দিতে পারবেন। বর্তমানে জেলা পুলিশের একাধিক জায়গায় কোনও আইন-শৃঙ্খলা জনিত সমস্যা কিংবা বড় মিছিল-মিটিং হলে শীর্ষকর্তাদের পুলিশের নিজস্ব বেতার যন্ত্র ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সময়ে সময়ে পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে হয়। উল্লেখ্য, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরা নেই। ফলে সব জায়গার ছবি প্রয়োজনে মেলেও না। ব্যাকপ্যাক এলে তার কিছুটা সুরাহা হবে বলেই বিশ্বাস পুলিশকর্মীদের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)