দুর্গাপুর হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।
বোমা ফেটে জখম হলেন দুই তৃণমূল কর্মী। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে লাউদোহা (ফরিদপুর) থানার বড়গোড়িয়া গ্রামে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়েছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, বোমা বাঁধতে গিয়েই ওই দুই তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এ দিন বড়গোড়িয়া গ্রামে দলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক পিকনিক করছিলেন। হঠাত্ কয়েক জন মুখ ঢাকা দুষ্কৃতী বোমা ছুড়ে পালায়। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন দুই কর্মী অর্জুন মণ্ডল ও গৌতম মণ্ডল। অর্জুনবাবুর দুই হাত জখম হয়। দু’টি পায়েও গুরুতর চোট পান তিনি। গৌতমবাবুর দু’পায়ে আঘাত লাগে। তাঁদের প্রথমে দুর্গাপুরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়। পরে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, সেখান থেকে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মহকুমা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অর্জুনবাবু অভিযোগ করেন, দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। সকাল থেকেই অনুষ্ঠান বানচালের চেষ্টা করছিলেন গ্রামের কিছু বিজেপি কর্মী। তাঁর কথায়, “বিকেলে পিকনিক চলাকালীন বিজেপির কয়েক জন মুখে কাপড় বেঁধে উপর চড়াও হয়। দু’টি বোমা ছোড়া হয়।” অর্জুনবাবুর দাবি, দু’হাতে বোমা আটকাতে গেলে বোমা ফেটে যায়। হাসপাতালে গিয়ে দেখা গিয়েছে, অর্জুনবাবুর বাঁ হাত কবজি থেকে ব্যান্ডেজ বাঁধা। ডান হাতের ব্যান্ডেজ খুললে দেখা যায়, তালু ফেটে গিয়েছে। চিকিত্সকেরা জানান, তাঁর ডান পা ভেঙেছে। গৌতমবাবুর দু’পা ও মাথায় চোট রয়েছে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার পিছনে রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “পুলিশে লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছি।” বিজেপির পাল্টা দাবি, এলাকা দখলে রাখতে অশান্তি পাকানোর জন্য তৃণমূল কর্মীরা বোমা বাঁধছিল। সেই সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
দিন কয়েক আগে তৃণমূল পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় গাঁধীমোড়ের সভায় দলের কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, “এক সময়ে সিপিএম যে ‘ওষুধ’ আমাদের উপরে প্রয়োগ করেছিল বিজেপির উপরে তা প্রয়োগ করুন।” এ দিনের ঘটনার পরে সেই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির দুর্গাপুর জেলা সভাপতি অখিল মণ্ডলের দাবি, “সে দিনের পর থেকেই আমাদের কর্মীদের নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গোপনে বোমা বেঁধে তা আমাদের দলের কর্মীদের উপরে প্রয়োগ করার চক্রান্ত এ দিনের ঘটনায় ফাঁস হয়ে গেল।”
পুলিশ জানায়, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy