মোবাইলের দোকানদারকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা আদায় এবং দোকানে ভাঙচুরের অভিযোগে কালনা থানা তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম হরেন হাওলাদার, অভিজিৎ মণ্ডল এবং অহিদুল শেখ। পুলিশের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে তিনটি মোটরবাইক এবং তিনটি ভোজালি উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের কালনা আদালতে হাজির করানো হলে চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মূল অভিযুক্ত সুমন পালের খোঁজ চলছে। সুমনের আত্মীয়দের অবশ্য দাবি, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তাদের তরফেও কালনা থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ জমা পড়েছে।
কালনা ২ ব্লকের শাসপুর এলাকার রাজীব গাঁধী মোড়ে মোবাইলের ব্যবসা রয়েছে সঞ্জীব দাসের। পুলিশকে লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, গত দু’মাস ধরে কালনা শহরের বড়মিত্র পাড়ার বাসিন্দা সুমন পাল কয়েক লক্ষ টাকার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিল। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ টেলিফোনে হুমকি দেয় সন্ধ্যার মধ্যে টাকা না দিলে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় সুমন দলবল নিয়ে দোকানে ঢোকে। অস্ত্র নিয়ে দোকানে লুঠপাট চালায়। সঞ্জীববাবুর দাবি, ‘‘আমাকে লক্ষ্য করে একটি কাটারি ছোড়া হলে তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তখন আমার চিৎকারে আশেপাশের বাসিন্দারা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালায়।’’ ব্যবসায়ীর দাবি, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল জোর করে টাকা আদায়।
অভিযোগ পেয়েই সক্রিয় হয় পুলিশ। কালনা থানার তিন জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় আরও আট জনকে খোঁজা হচ্ছে। তাদের খোঁজে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। পুলিশের দাবি, শুধু এই ঘটনাই নয়। সম্প্রতি তোলাবাজি নিয়ে তাদের কাছে একাধিক অভিযোগ আসছিল। এ দিন অন্যতম অভিযুক্ত সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তার এক আত্মীয় দাবি করেছেন, সুমনকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। তাতে সব দিকই খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy