তবে কে আটকাল তাঁর গাড়ি। কেন নিল তাঁর গাড়ির আরসি বুক। আসল না নকল পুলিশ? বুধবার দিনভর ঘুরে আর ভেবেও রহস্য ভেদ করতে পারলেন না কলকাতার বাসিন্দা সঞ্জয় দে।
মঙ্গলবার কলকাতা থেকে দুর্গাপুর যাচ্ছিলেন সঞ্জয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি। তাঁদের দাবি, উল্লাস মোড়ে পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি তাঁদের পথ আটকায়। পুলিশের পোশাকে থাকা কয়েক জন যুবক সিটবেল্ট না-পড়ার জন্য ২০০ টাকা জরিমানা দিতে বলেন সঞ্জয়বাবুকে। এই নিয়ে দু’পক্ষের বচসা বাধে। সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, জরিমানা দিতে রাজি হয়ে যাওরা পরেও তাঁর গাড়ির আরসি বুক বাজেয়াপ্ত করে নেয় ওই যুবকেরা। তাড়া থাকায় জরিমানার চালান নিয়ে ওই দম্পতি দুর্গাপুরের উদ্দেশে চলে যান।
বিড়ম্বনার শুরু বুধবার থেকে। এ দিন কলকাতা ফেরার পথে জরিমানার টাকা জমা দিয়ে গাড়ির আরসি বুক ফেরত নেওয়ার জন্য বর্ধমান থানা যান ওই দম্পতি। পুলিশ চালান দেখে জানিয়ে দেয়, এই চালান তাদের নয়। দরকারে ওই দম্পতি যেন বর্ধমান ট্র্যাফিক গার্ডে যোগাযোগ করেন। অঞ্জলিদেবী বলেন, “ট্রাফিক গার্ডও আমাদেরকে জানায়, জরিমানার ওই কাগজ তাদের নয়। এর পরে আমরা ওই কাগজ খুঁটিয়ে দেখি সেখানে তারিখ ভুল রয়েছে। পুলিশ অফিসারের সই স্পষ্ট নয়। এমনকী সরকারের কোনও সিলও ওই চালানে নেই।” তবে কি তিনি ভুয়ো পুলিশের খপ্পরে পড়েছিলেন—এমনই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে সঞ্জয়বাবুদের মনে। আরসি বুকটাও হাতছাড়া হয়েছে। এর পরেই ওই দম্পত্তি বর্ধমান থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। সঞ্জয়বাবুর কথায়, “কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে গাড়ির নথি ব্যবহার হতে পারে, এই আশঙ্কাতেই বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়ে রাখলাম।”
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “বুধবার দিনভর নানা জায়গাতেই গাড়ি পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু ওই ব্যক্তির কাছে থাকা জরিমানার কাগজটি পুলিশের নয় বলেই প্রাথমিক ভাবে আমাদের ধারণা। বিষয়টি আমরা দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy