স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আহতেরা। নিজস্ব চিত্র
প্রচার সেরে ফেরার সময়ে তৃণমূলের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের লোকজনের বিরুদ্ধে। রানিগঞ্জের আমরাসোতা পঞ্চায়েতের বাঁশরায় রবিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। সিপিএম নেতৃত্বের যদিও দাবি, এই পঞ্চায়েতে ভোটে ভাল লড়াইয়ের আঁচ পেয়ে তাঁদের নেতা-কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
তৃণমূলের বাঁশরার নেতা তথা আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ ব্লক সহ-সভাপতি মধু ঘোষ অভিযোগ করেন, রবিবার প্রচারের কাজ শেষ করে তিনি ও দলের আর এক নেতা সমরেশ বাউরি এলাকার ফুটবল মাঠে বসে আলোচনা করছিলেন। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এলাকার দুই সিপিএম নেতা জনা দশেক দুষ্কৃতীকে নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয়। মধুবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওদের হাতে লাঠি ও রড ছিল। আমাদের মাঠের ধারে টেনে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। আমরাসোতা ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকেও বিষয়টি জানিয়েছি।”
রানিগঞ্জে ছ’টি পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র আমরাসোতা এখনও পর্যন্ত সিপিএমের দখলে রয়েছে। ২০১৩ সালে এই ব্লকের বাকি পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূলের হাতে গেলেও এখানে বোর্ড গড়েছিল সিপিএম-ই। দলের নেতাদের দাবি, তফসিলি জাতি ও জনজাতি অধ্যুষিত এই এলাকার মানুষের মধ্যে বামেদের প্রভাব রয়েছে। তৃণমূল এখনও এই অঞ্চলে সে ভাবে প্রভাব বাড়াতে পারেনি। এ বার যেখানে রানিগঞ্জ-সহ জেলার নানা প্রান্তের বহু পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির আসন তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে, সেখানে আমরাসোতায় পাঁচটি আসনেই লড়াইয়ে রয়েছেন সিপিএমের প্রার্থীরা।
রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্ত দাবি করেন, “এই পঞ্চায়েতের সব ক’টি আসনে আমরাই জিতব। তা বুঝতে পেরে শাসক দল বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছে। সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ওরা। তাই নিজেদের মধ্যে মারপিট করে আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে অভিযোগ করে গ্রেফতার করানোর চেষ্টা করছে।’’
তৃণমূল অবশ্য সিপিএমের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। দলের আসানসোল দক্ষিণ গ্রামীণ ব্লক সভাপতি বাবু রায়ের কথায়, ‘‘বরাবর সন্ত্রাস করে এলাকায় ক্ষমতা দখল করে এসেছে সিপিএম। এ বারও সেটাই করবে বলে আশা করছে।’’ পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy