কুলটিতে বিজেপির বিক্ষোভ-মিছিল। — নিজস্ব চিত্র।
অনুন্নয়ন ও পুরপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শুক্রবার কুলটির বরো কার্যালয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল বিজেপি। পরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিজেপির অভিযোগকে আমল দেননি মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা দাবি, বিজেপি নেতৃত্বের চোখে উন্নয়ন ধরা পড়ে না। তাই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন তাঁরা।
এ দিনের কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ও কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার। কুলটির নিয়ামতপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে কর্মী-সদস্যেরা মিছিল করে বরো কার্যালয়ে যান। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় অবস্থান-বিক্ষোভ। ঘণ্টা দেড়েক বিক্ষোভ চলে। বাপ্পার দাবি, কুলটি বিধানসভার অন্তর্গত ২৮টি ওয়ার্ডের পরিকাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েছে। কুলটি, বরাকর, নিয়ামতপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় রাস্তা, নর্দমা ভাঙা। ফলে, নর্দমার জল রাস্তা দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, “কুলটিতে জলপ্রকল্প তৈরি করা হলেও, এখনও শহরাঞ্চলের বহু এলাকায় পানীয় জল পৌঁছয়নি। টাকা জমা দিলেও বাসিন্দারা পানীয় জলের সংযোগ পাচ্ছেন না।” তাঁর আরও অভিযোগ, “জনৈক মেয়র পারিষদ নিজের লোকেদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দিতে, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জমি দখল করে পার্কিং-জ়োন গড়ে তোলেন। কিন্তু সড়ক কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে বেনিয়ম ভেস্তে যায়। এ ছাড়া, কুলটির কেন্দুয়াবাজার এলাকার এক পুরপ্রতিনিধি তথা রেশন ডিলার চাল, গম বিক্রি করে দিয়েছেন।”
বিজেপির এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে মেয়র বিধানের মন্তব্য, “বর্ষায় এমনিতেই নর্দমা উপচে জল বয়ে যায়। তবে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকায় এই সমস্যা রয়েছে। কিন্তু সর্বত্র নয়। পানীয় জলের সমস্যা ৯০ শতাংশ সুরাহা হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে, তা দ্রুত করে ফেলা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy