Advertisement
২২ মে ২০২৪
চুরুলিয়া-খয়রাশোল

কলেজ যাতায়াতে সমস্যা, সেতুর দাবি দুই জেলায়

বর্ষায় স্কুলে যেতে গেলে নদী পেরিয়ে আসতে হয় এ পারের স্কুল-কলেজে। সেতু না থাকায় ও পারের বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য অজয় পেরিয়ে আসানসোলের হাসপাতালে আসতে পারেন না।

বর্ষায় বন্ধ হয়ে যায় এই পথে যাওয়া-আসা।নিজস্ব চিত্র।

বর্ষায় বন্ধ হয়ে যায় এই পথে যাওয়া-আসা।নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:২৯
Share: Save:

বর্ষায় স্কুলে যেতে গেলে নদী পেরিয়ে আসতে হয় এ পারের স্কুল-কলেজে। সেতু না থাকায় ও পারের বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য অজয় পেরিয়ে আসানসোলের হাসপাতালে আসতে পারেন না। —এই পরিস্থিতিতে চুরুলিয়ায় অজয়ের উপরে একটি স্থায়ী সেতু তৈরির দাবি জানিয়েছেন বর্ধমান ও বীরভূমের সীমান্ত লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ফি বছর শারদোৎসবের আগে দরপত্র ডেকে অস্থায়ী সেতু তৈরি হয়। আবার বর্ষায় তা ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়।

বর্ধমানের চুরুলিয়া ও বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের পাটসুণ্ডি, বড়ড়া, বাবুইজোড় গ্রাম পঞ্চায়তের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে অজয়। অদূরেই রয়েছে ঝাড়খণ্ডের আফজলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। বীরভূম, ঝাড়খণ্ড থেকে অনেক পড়ুয়াই চুরুলিয়ার স্কুল-কলেজে আসেন। চুরুলিয়া নবকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাপ্পাদিত্য রায় বলেন, “বর্ষায় দু’পাড়ে নৌকা দাঁড় করানোর পরিকাঠামো না থাকায় যাত্রীদের কোমর জলে নামিয়ে দিতে হয়। এর ফলে ভেজা পোশাকেই স্কুলে আসে পড়ুয়ারা।’’

বীরভূমের পাটসুণ্ডির বাসিন্দা পরিমল মণ্ডল জানান, ও পারে চুরুলিয়ার নজরুল মহাবিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ৭ কিলোমিটার। সেখানে ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে খয়রাশোল কলেজ। চুরুলিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুলকালাম মল্লিকের দাবি, ‘‘সেতু তৈরি হলে সিউড়ি থেকে এলাকার দূরত্ব ২০ কিলোমিটার কমে যাবে। কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যাও বাড়বে।’’ এই মুহূর্তে যে সব পড়়ুয়ারা আসেন, তাঁদের দাবি, স্থায়ী সেতু তৈরি হলে বীরভূমের অন্তত ৫০টি গ্রামের বাসিন্দারা উপকৃত হবেন।

স্থায়ী সেতু তৈরি হলে স্বাস্থ্য পরিষেবাও নাগালের মধ্যে আসবে বলে জানান বীরভূমের বাসিন্দারা। বড়কোলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ নূর কালাম জানান, ৫৫ কিলোমিটার দূরে সিউড়ি হাসাপাতাল যাওয়ার থেকে ২২ কিলোমিটার দূরের আসানসোল জেলা হাসপাতাল যাওয়া সহজ। কিন্তু বর্ষায় নৌকা না চলায় তেমনটা সম্ভব হয় না। স্থায়ী সেতু তৈরি হলে ব্যবসায়িক লেনদেনও বাড়বে বলে আশা চুরুলিয়ার বাসিন্দা শেখ আসরফের।

চুরুলিয়ার নজরুল অ্যাকাডেমির সম্পাদক মজাহার হোসেনের অভিযোগ, “রাজ্য সরকারে কাছে বেশ কয়েক বার স্থায়ী সেতু চেয়ে আর্জি জানিয়েও লাভ হয়নি।’’ খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অসীমা ধীবর বলেন, “স্থায়ী সেতুর দাবিতে স্মারকলিপি পেয়েছি। কিন্তু সমিতির পক্ষে ওই টাকা খরচ করা সম্ভব নয়। তবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সদর্থক সাড়া পেয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bridge
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE