পুকুর বুজিয়ে হয়েছে রাস্তা। —নিজস্ব চিত্র।
কয়েক বিঘা এলাকা জুড়ে এক সময় পুকুর ছিল। কিন্তু সম্প্রতি রানিগঞ্জের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দন কলোনির পুকুরটি ভরাট করে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন সিপিএম কাউন্সিলর নারায়ণ বাউরি ও তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি প্রকাশ মাহাতো। সিপিএমের ক্ষোভ, শহর জুড়ে পুকুর ভরাটের রমরমা চলছে।
নারায়ণবাবুর ক্ষোভ, ‘‘বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাট করে জমি বিক্রি, এমনকী তার উপরে রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে।’’ পুকুর ভরাটের ছবি তুলে তা রানিগঞ্জের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (বিএলআরও) এবং বর্ধমানের জেলাশাসককে পাঠানো হয়েছে বলে ওই কাউন্সিলরের দাবি। প্রকাশবাবু বিএলআরও-কে দেওয়া চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, ‘‘জমি ব্যবসায়ী দিপু রজক, দিলীপ সিংহ, গৌর ভকত ও সুবল ভকত পুকুরটি ভরাট করে দিয়েছেন।’’
সিপিএমের অভিযোগ, নন্দন কলোনি ছাড়াও রানিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ভরাট হচ্ছে। যেমন, রানিগঞ্জ মোড় ও আসানসোল পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি পুকুর ভরাটের অভিযোগ ওঠে দিন কয়েক আগে। তবে প্রশাসন তৎপর হওয়ায় ভরাটের কাজ বন্ধ হয়। বিরোধীদের দাবি, প্রশাসনের নাকের ডগায় রামবাগান ও হালদারবাঁধ এলাকায় দু’টি পুকুর বুজিয়ে ফেলা হয়েছে। সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের অভিযোগ, ‘‘পুকুর ভরাট হচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পরিত্যক্ত জমিও বেআইনি ভাবে বিক্রি করে
দেওয়া হচ্ছে।’’
এ ভাবে পুকুর বোজানো চলতে থাকলে আখেরে ভূগর্ভস্থ জলেই টান পড়বে বলে দাবি পরিবেশবিদদের একাংশের। তা ছাড়া, আর্সেনিক বা ফ্লোরাইডের মতো বিষাক্ত পদার্থ জলে মিশে ক্ষতিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএলআরও সুমন সরকার অবশ্য বলেন, “এলাকা পরিদর্শন করে দেখেছি নন্দন কলোনিতে পুকুর ভরাট করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে পুরনো অবস্থায় পুকুরটি ফিরিয়ে আনার জন্য পুকুর মালিকদের নির্দেশ দিয়েছি। অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন অভিযান করে পুকুর ভরাট বন্ধ করছে।’’ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও ওই পুকুরটি বিনোদ বাগাড়িয়া ও আনন্দ কেডিয়ার নামে রয়েছে। তাঁদের যদিও দাবি, ‘‘পুকুর বিক্রি হয়ে গিয়েছে। রেজিস্ট্রেশন বাকি থাকায় তা এখনও আমাদের নামেই রয়েছে।’’ শুক্রবার দিপুবাবুরা বলেন, ‘‘বিএলআরও-র নির্দেশ মেনে পুকুরটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’ পুরসভার তরফে দফতরকে যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy